দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলার কারণে ফের একবার লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে একাধিক রাজ্য সরকারকে।

লকডাউন জারি করার পরেই ভিন রাজ্যে থাকা কর্মী এবং পরিযায়ী শ্রমিকরা ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে নিজের বাড়ির ঠিকানায়।

একাধিক পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আবারও কর্মহীন হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক শ্রমিক। আর এই কঠিন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল ভারতের অন্যতম প্রথম সারির টেলিকম সংস্থা এয়ারটেলকে।

কর্মহীন হয়ে পড়ার কারণে অনেক মানুষ নিজেদের ফোনে রিচার্জ করতে অক্ষম হচ্ছেন। তবে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা ভিন রাজ্যে কাজ করার ফলে দিনের একটা সময় পরিবারের আপনজনের সঙ্গে কথা বলে নিয়মিত।

আর এয়ারটেল এই সমস্ত গ্রাহকদের জন্য রবিবার তাদের ৪৯ টাকার পরিকল্পনাটি ফ্রি করার কথা ঘোষণা করেছে। এয়ারটেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংস্থার ৪৯ টাকার পরিকল্পনার অধীনে প্রায় ৫.৫ কোটি গ্রাহক রয়েছে।

টেলকো জানিয়েছে, ৫.৫ কোটি মানুষকে ৪৯ টাকার পরিকল্পনাটি ফ্রি দেওয়ার ফলে সংস্থার ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এর পাশাপাশি সংস্থা তাদের ৭৯ টাকার পরিকল্পনায় ডাবল বেনিফিট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে ।

এয়ারটেলের ৪৯ টাকার পরিকল্পনায় দেওয়া হয় ৩৮ টাকার টকটাইমের সঙ্গে ১০০ এমবি ডাটা, যার মেয়াদ থাকে ২৮ দিন।

এই ৪৯ টাকার পরিকল্পনার আওতায় রয়েছেন ৫৫ মিলিয়ন গ্রামীণ গ্রাহক, যারা এই কঠিন সময়ে আর্থিক অনটনের কারণে রিচার্জ করতে পারছে না বলে জানিয়েছে সংস্থা।

অন্যদিকে সংস্থার নতুন চালু করা ৭৯ টাকা পরিকল্পনায় ডাবল বেনিফিট-এর জন্য গ্রাহকদের মিলবে ১২৮ টাকার টকটাইম এবং ২০০ এমবি ডাটার পরিষেবা। সংস্থার এই অফারের বৈধতা রাখা হয়েছে ২৮ দিন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পরিকল্পনায় প্রতি মিনিটের ভয়েস কলের জন্য ৬০ পয়সা করে চার্জ করা হবে। এর পাশাপাশি ডাটার সুবিধা শেষ হলে অতিরিক্ত এমবির জন্য ৫০ পয়সা করে ধার্য করবে সংস্থা।

ভারতের প্রথম সারির টেলিকম অপারেটর সংস্থা এয়ারটেলের এই উভয় রিচার্জ সাহায্য করবে সেই সমস্ত মানুষকে যারা আর্থিক কারণে রিচার্জ করতে অক্ষম হচ্ছেন।

পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে আগামী দিনেও বাকি টেলিকম সংস্থাগুলিও গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে এরকম একাধিক সুবিধা চালু করতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.