সোমবার সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত। একের মোড় এক নাটকীয় মোড়। কখনও জামিন মঞ্জুর তো আবার রাতে জামিনের উপর স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সারাদিনের বিস্তারিত রিপোর্ট দিল্লির সদর দফতরে পাঠাল সিবিআই।
সোমবার সকালে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ এক বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। তদন্তকারী আধিকারিকরা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান।
সবাইকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেী চার নেতাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এরপর ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে পুরোটা সিবিআইয়ের তরফে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দিল্লিতে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে সিবিআই আধিকারিকরা প্রাণহানী ভয় করছেন বলে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট দিয়েছন।
কারণ এদিন যেভাবে সিবিআইয়ের অফিসের বাইরে ভড় ছিল তা দেখে তাঁরা আতংকিত।
এমনকি যেভাবে তৃণমূল কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর চড়াও হয়েছিল তাতেও আতঙ্ক বেড়েছে। উল্লেখ্য সেই ঘটনার বিস্তারিত ভিডিও দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে চার নেতাকে গ্রেফতারের পর সিবিআই ডিআইজি অখিলেশ সিংয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এতদিন চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতেন। সোমবারের পর থেকে আরও চারজন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাবেন তিনি। এমনকি তাঁর বাড়িতেও নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছ।
উল্লেখ্য, রাত একটা নাগাদ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের উদ্দেশে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিবিআই।
নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েই ফিরহাদ হাকিম বলে দিলেন, "বিজেপি ইডি, সিবিআই সবাইকে কিনে নিতে পারে। কিন্তু বিচার-বিভাগের উপর আমাদের আস্থা আছে। আমায় কলকাতার কোভিড মোকাবিলার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা আমাকে কলকাতার লোককে বাঁচাতে দিল না।"
শেষ কথাটি বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মদন মিত্রর দাবি, "এটুকু বুঝলাম, আমরা খারাপ, আর শুভেন্দু, মুকুলরা ভাল।" শোভন বলে দেন তিনি কোনও অন্যায় করেননি। সঠিক বিচারেরই আশা রাখছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াই। নগর দায়রা আদালত থেকে চারজন জামিন পেলেও হাইকোর্টের নির্দেশে রাতে জেলে থাকতে হচ্ছে তাঁদের।