প্রত্যেকদিন সংক্রমণ বাড়ছে। ইতিমধ্যে বাংলাতে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের কাছাকাছি। মারণ করোনার চেন ভাঙতে ইতিমধ্যে কড়া লকডাউন জারি করেছে মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের সরকার।
রাজ্যে বন্ধ লোকাল ট্রেন। আশঙ্কা করা হয়েছিল এমন পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যেতে পারে বহু দূরপাল্লার ট্রেন।
কিন্তু সেই সময় বলা হয়েছিল যে স্পেশাল ট্রেন চলবে। কিন্তু পূর্ব রেলের তরফে একগুচ্ছ ট্রেন বাতিলের কথা জানানো হল। জানা যাচ্ছে, করোনার জেরে বাতিল করা হল ১০টি দূরপাল্লার স্পেশ্যাল ট্রেন।
এদিন একটি নোটিস দিয়ে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়, ২০ মে থেকে শিলায়দহ-নিউ জলপাইগুড়ি স্পেশ্যাল এবং ২১ তারিখ নিউ জলপাইগুড়ি-শিয়ালদহ স্পেশ্যাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। জেমন ১৯ মে থেকে চলবে না শিয়ালদহ-পুরী স্পেশ্যাল।
একইভাবে ২০ মে থেকে বন্ধ পুরী-শিয়ালদহ স্পেশ্যালও। চলবে না কলকাতা-হলদিবাড়ি আপ ও ডাউন স্পেশ্যাল ট্রেনটিও বন্ধ থাকবে ২০ মে থেকে। ২৪ মে থেকে কলকাতা-শিলঘাট স্পেশ্যাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সপ্তাহে একদিনই (সোমবার) চলত ট্রেনটি।
উলটোদিকে ২৫ মে থেকে শিলঘাট থেকে কলকাতা গামী স্পেশ্যাল ট্রেনও চলবে না। এছাড়াও ১৯ মে থেকে বাতিল হাওড়া-বালুরঘাট আপ ও ডাউন স্পেশ্যালও ট্রেনটি বাতিল থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, লাগাতার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল। সেই পরিস্থিতিতে আরও কড়া বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে পশ্চিমবঙ্গ। সরকারিভাবে লকডাউনের ঘোষণা করা না হলেও কার্যত সেইরকমই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ৩০ মে সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত সেই বিধিনিষেধ চলবে।
যেমন এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে যেমন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি অফিস। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত দফতরগুলি খোলা থাকবে। সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র শাক-সবজি, ফল, মুদিখানা, মাংস, ডিম, পাউরুটির সঙ্গে যুক্ত খুচরো দোকান এবং বাজার খোলা থাকবে।
সকাল ১০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে। ওষুধের দোকান, চশমার দোকান সাধারণ সময়মতো খোলা থাকবে। বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত সোনা ও শাড়ির দোকান খোলা থাকবে। পেট্রল পাম্প, অটো রিপেয়ার দোকান, এলপিজি গ্যাসের দোকান এবং বণ্টন দোকান খোলা থাকবে।
ওষুধের দোকান, চশমার দোকান সাধারণ সময়মতো খোলা থাকবে। এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে মেট্রো, লোকাল ট্রেন, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। ট্যাক্সি, অটো বন্ধ থাকবে।
শুধু জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত পরিবহনে ছাড় মিলবে। কার্যত সব রকমের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকছে।
শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়ি, চিকিৎসা, সংবাদমাধ্যম, হাসপাতাল, ক্নিনিক, বিমানবন্দর থেকে গাড়ি, টার্মিনাল পয়েন্ট থেকে গাড়ি, টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে চলাচল করতে পারবে।