কলকাতা: সোশ্যাল সাইটে (Social Media) ফের কটূক্তির শিকার হলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। এবারও সেই নেটিজেনকে ছেড়ে কথা বললেন না তিনি। রীতিমতো রুখে দাঁড়ালেন। আর তাঁর উত্তর নেটদুনিয়াতেই যারপরনাই প্রশংসিতও হল।
”ইগনোরেন্স ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি” হলেও সব সময় সবার ক্ষেত্রে একইরকমভাবে ইগনোর করা যায় না। অভিনেতা অভিনেত্রীরা পাবলিক ফিগার (Public Figure) হওয়ার দরুন খুব সহজে অনায়াসেই তাঁদের দিকে কটূ মন্তব্যের তীর বা ঝড় উঠে আসে। তা সে তাঁর চরিত্র নিয়ে হোক বা অভিনয় দক্ষতা কিংবা তাঁর বাহ্যিক সৌন্দর্য বা অ্যাপিয়ারেন্স। সেটা আজকের নয় অনেক আগে থেকেই রূপ দেখে কারুর চরিত্র বা গুণ বিচার করার প্রবণতা চলেই আসছে। তবে আজ সোশ্যাল সাইট বা ভার্চুয়াল দুনিয়া আমাদের হাতের মুঠোয় বলে এই প্রবণতা যেন আরও মাত্রাতিরিক্তভাবে দেখা দিয়েছে।
অভিনেত্রী শ্রুতি দাস(Shruti Das) অর্থাৎ আপনাদের সবার পছন্দের ত্রিনয়নীর নয়ন এবং দেশের মাটির নোয়া, শুভজিৎ নামের এক ব্যক্তির অশ্লীল প্রশ্নের শিকার হয়েছেন। তবে দমে যাওয়ার পাত্রী তিনি নন। তাই দারুণ কায়দায় শুভজিৎ নামের এই ব্যক্তির মুখে ঝামা ঘষে দিলেন অভিনেত্রী। শুধু অভিনয় নয়, এরই সঙ্গে নাচ, গান, মডেলিং সবকিছুতেই সমান পারদর্শী এই অভিনেত্রী। তবুও বারংবার নেটিজেনদের কাছ থেকে বর্ণ বিদ্বেষের শিকার হয়েছেন শ্রুতি।
হঠাৎই লকডাউন হয়ে যাওয়ায় সবাই এখন ঘরবন্দী। একইরকমভাবে শ্রুতি দাসও তাই। আর এই ঘরবন্দী অবস্থায় সময় কাটাতে তিনি ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের প্রশ্ন করতে বললেন যার উত্তর তিনি দেবেন।
শুভজিত নামের একজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘কতবার সেক্স করেছ?’ এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রীও দিলেন সপাটে জবাব। শ্রুতি বললেন, ‘জানিনা ভাই, তবে আগে তুমি মাকে জিজ্ঞেস করো। সিনিয়ার ফার্স্ট।’ এরই সঙ্গে শ্রুতি নিজের একটি মুখ ঢাকা ছবি স্টোরিতে দিয়ে লেখেন, ‘লজ্জা পাচ্ছি, কাকিমার লজ্জা পাওয়া মুখ দেখতে চাই’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.