হ্রাস পেয়েছে টিকাকরণ
গতমাসের টিকাদানের পরিসংখ্যান চার সপ্তাহ আগে চমকপ্রদভাবে হ্রাস পেয়েছে। ৩২.৭ লক্ষ থেকে তা নেমে চলে এসেছে ৬.৯ লক্ষতে। বর্তমানে দৈনিক ১৮ লক্ষ করে টিকাকরণ হলে তিন বছর সময় লাগবে দেশের জনসংখ্যার ৮০ শতাংশকে টিকা দিতে কিন্তু এখন ম্যাজিক সংখ্যার প্রয়োজন হার্ড ইমিউনিটির জন্য। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১১১.২ কোটি মানুষকে টিকাকরণ করানোর লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে, সরকারকে প্রতিদিন ৮৯.৫ লক্ষ টিকাকরণ করানোর লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
ভ্যাকসিন ঘাটতি
গত সপ্তাহে দিল্লি সহ একাধিক রাজ্য ভ্যাকসিন ঘাটতির কথা প্রকাশ্যে এনেছিল। ভ্যাকসিন ঘাটতির কারণে মহারাষ্ট্রে বহু টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দিল্লিও একই পত অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণে ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, যা ১ মে থেকে শুরু হয়। সোমবার দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন যে তিনদিনের মতো ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই চিঠি লিখে দিল্লিকে জানিয়ে দিয়েছে যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণের জন্য এই মাসে আর কোনও ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে না। দেশের দু'টি ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুললেও কেন্দ্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে সরবরাহ তরাণ্বিত হবে জুলাই ও অগাস্টে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর আশ্বাস দিয়েছেন যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন ডোজ জুলাই-আগাস্টে উপলব্ধ হবে। সপ্তাহজুড়ে তাঁর ক্যাবিনেটের সহকর্মীরা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন যে জুলাইয়ের শেষে গিয়ে ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য পৌঁছাবে ৫১.৬ কোটিতে।
ভ্যাকসিন ডোজের ব্যবধান
গত সপ্তাহে কেন্দ্র ঘোষণা করে জানায় যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করা হল, যা আগে ৬-৮ সপ্তাহ ছিল। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পর সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কংগ্রেসের কাছে। অনেক নেতাই জানিয়েছেন যে কেন্দ্রের এই ঘোষণা থেকেই স্পষ্ট যে দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে।
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি দেশে
সোমবার, টানা তিনদিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। রবিবারের পর সোমবার নতুন করে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪,১০৬ জনের। তবে দেশে দৈনিক সংক্রমণ প্রথমবার তিন লক্ষের নীচে নেমেছে ২১ এপ্রিলের পর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২.৮১ লক্ষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন।