স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: স্বল্প সময়ের মধ্যেই পদ্মের সংসারে মোহভঙ্গ হল ফুটবলার তথা প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাসের (Dipendu Biswas)। মঙ্গলবার বিজেপি ছাড়লেন তিনি। এদিকে, দল ছাড়ার পরই তৃণমূলের সুরে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করলেন। তাহলে কি আবার তৃণমূলে ফিরছেন এই ফুটবলার? রাজ্য-রাজনীতিতে এই নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু সেখানেও থাকতে পারলেন না তিনি। মঙ্গলবার মেল করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন দীপেন্দু। কি কারণে দল ছাড়ছেন, সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি।

আরও পড়ুন: SSKM-এ মদন-শোভনের পাশের কেবিনেই ভর্তি করা হল সুব্রতকে

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ১,৫৮৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের কাছে হেরে যান দীপেন্দু। তবে দীপেন্দুকে বসিরহাটে সংগঠনের দায়িত্বে রেখে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর আস্থার মর্যাদা দিয়ে ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ফের দীপেন্দুকে প্রার্থী করেন তিনি। সেই শমীক ভট্টাচার্যকেই ২৪ হাজার ৫৮ ভোটে হারান বসিরহাটের ঘরের ছেলে মিঠু।

তৃণমূল অবশ্য এবার তাঁর ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। ফলে টিকিট না পেয়ে অভিমানে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু। যদিও বিজেপিতে গিয়েও দীপেন্দুর কোনও লাভ হয়নি। সেখানে গিয়েও বিজেপির প্রার্থী হতে পারেননি দীপেন্দু। তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। বিজেপিতে যোগদান করলেও ভোটের প্রচারে দেখা যায়নি দীপেন্দুকে। অবশেষে বিজেপি ত্যাগ করলেন তিনি।

সোমবার নারদ মামলায় দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের সুরেই এদিন দীপেন্দু বলেন, ‘‌করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তৃণমূলের ২ মন্ত্রী, একজন বর্তমান বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’‌ এই মন্তব্যের পরই তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তীব্র হয়েছে। তবে দীপেন্দু নিজে তৃণমূলে ফেরার জল্পনাও উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, তিনি এখন শুধু খেলাধুলোতেই মন দিতে চান।

২২ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন দীপেন্দু। এখন বাড়িতেই আছেন তিনি। ২ মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ফেসবুকে বসিরহাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক ডা. সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ের জন্য শুভেচ্ছাও জানান।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.