করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভে মৃত্যু মিছিল ক্রমেই লম্বা হচ্ছে। তবে সেটা বোঝার জন্য অবশ্যই আপনাকে শ্মশান ও কবরস্থানগুলিতে ঢুঁ মারতে হবে। কারণ মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা বোঝা যাবে সেখানেই। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের একটি বেসরকারি হাসপাতাল বিধি ভঙ্গ করে গত ১৫ দিন ধরে কোভিডে ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর গোপন করে রেখেছিল স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
সোমবার মুখ্য পরিচালন অফিসার অভিষেক ত্রিপাঠি জানিয়েছেন যে রাজ্যের সব হাসপাতালকে কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর কোভিড কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে। উল্লেখ্য, উত্তরাখণ্ডে হঠাৎই বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে বহু হাসপাতালই নিয়মিত ভাবেরোগী মৃত্যুর তথ্য রাজ্যের কোভিড কন্ট্রোল রুমকে দিচ্ছে না। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব অমিত নেগি হাসপাতালগুলিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, নিয়মিত রোগী মৃত্যুর সংখ্যা জানাতে হবে।
সোনার দামে ফের হু হু করে পতন শুরু বিয়ের মাসে, ১৮ মে কলকাতায় দর কত
কোভিড–১৯ রোগী মৃত্যুর তথ্য রাজ্য সরকারের কন্ট্রোল রুমে হাসপাতালগুলিকে নিয়মিত পাঠাতে হয়, অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। চিঠিতে হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, সঠিক সময়ে করোনা রোগী মৃত্যুর সংখ্যা না জানালে মহামারি আইনের অধীনে শাস্তি দেওয়া হবে অভিযুক্ত হাসপাতালকে। উল্লেখ্য, করোনার প্রভাব ভয়াবহ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডেও। রিপোর্ট বলছে, উত্তরাখণ্ডে শেষ ১০ দিনে ৯ বছরের কম বয়সি ১০০০ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৷ কয়েকজন হাসপাতালেও ভর্তি। উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বিগত এক মাসে মাত্র ২,১৩১ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৷