চলছে উদ্ধারকাজ
প্রসঙ্গত, ১৫০-১৮০ কিমি বেগে আসা তাউকতের ঝড়ের মুখে পড়েছিল তিনটি জাহাজ ও ড্রিলশিপের মধ্যে একটি বার্জ। ওএনজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে যে উদ্ধারের জন্য নৌবাহিনীর আইএনএস কোচি, আইএনএস কলকাতা সহ ৪টি যুদ্ধজাহাজকে কাজে লাগানো হচ্ছে। মুম্বইয়ের নৌসেনা ঘাঁটি থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে একাধিক হেলিকপ্টার। তবে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ার জন্য ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এছাড়াও ঝড়ের কারণে ৬-৮ মিটার উঁচু ঢেউয়ের জন্য উদ্ধার কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আটকে আরও তিনটি জাহাজ
‘গ্যাল কনস্ট্রাক্টর' নামে একটি বার্জও বিপদের মধ্যে পড়ে। সেখানে ১৩৭ জন ছিলেন। উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ সিজিএস সম্রাটকে উদ্ধারকাজে পাঠানো হবে। এছাড়া পাঠানো হয় এমার্জেন্সি টোয়িং ভেসেল 'ওয়াটার লিলি' এবং দুটি সাপোর্ট ভেসেলকে। এর পাশাপাশি, সাগর ভূষণ ওয়েল রিগ-এ আটকে পড়েছেন ১০১ জন। তাঁদেরও উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। পাঠানো হয়েছে যুদ্ধজাহাজ আইএনএস তলওয়ারকে। অন্যদিকে, ‘বার্জ এসএস-৩' মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়ে। সেই বার্জে ১৯৬ জন যাত্রী ও ক্রু রয়েছেন। নৌসেনার পি৮১ নজরদারি বিমান ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারকার্য শুরু হওয়ার কথা।
দুর্বল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউকত
প্রসঙ্গত, দুদিন ধরে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় তাউকতে ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। গতকাল রাতে গুজরাতের ৬০ কিলোমিটার দূরে দিউয়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে এই ঘূর্ণিঝড়। ধস হওয়ার পর প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড় হয়। গুজরাতের উদ্ধার ত্রাণের কাজে সেনার ১৮০টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এনডিআরএফের ৪৪টি দল
বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফের ৪৪ টি দল। গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে ঝড়ের দাপটে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়াতে ২, কেরলে ২,কর্ণাটকে ৪, মহারাষ্ট্রে ৬ ও গুজরাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় তাউকটের ধাক্কায় ভাঙল ১৬ ফুটের সাইটস্ক্রিন, ওয়াংখেড়েতে শুরু সংস্কার