দায়িত্ব থেকে একাধিক নেতাকে সরানোর দাবি
বিধানসভা ভোটে বিজেপির দাবি মতো আসন সংখ্যা ধারে কাছে পৌঁছতে না পারার পর থেকে রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত একাধিক নেতাকে পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। যার মধ্যে সব থেকে আগে রয়েছে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নাম। তারপর রয়েছে অরবিন্দ মেননের নাম। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে এইসব নেতাদের না সরালে নাকি উপায় নেই দিল্লির কর্তাদের কাছে।
মমতার বিরুদ্ধে মহিলা মুখের দাবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। তিনিই সব আসনে প্রার্থী, সেই দাবিতেই মাত সবাই। বিশেষ করে মহিলা আর যুবরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেছে নিয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে সরাতে হলে, বাংলার মাটিতে কাকে পর্যবেক্ষক করা হবে তা নিয়ে বিজেপির অন্দরমহলের আলোচনা চলছে।
স্মৃতি ইরানির নাম প্রস্তাব
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে বাংলার কয়েকজন নেতা স্মৃতি ইরানির নাম প্রস্তাব করেছেন। কেনান একদিকে যেমন তিনি মহিলা মুখ, অন্যদিকে তিনি বাংলাটাও বলতে পারেন। নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসে তাঁকে বাংলায় ভাষণ দিতে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয় তাঁর সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পদ্ম ফোটানোয় তার বিশেষ অবদানও রয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি এই রাজ্যের জন্য তাঁকে পর্যবেক্ষক করা হয়, তাহলে অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ে তাঁকে সামনে রাখা যাবে।
মোদীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে কংগ্রেসের অস্ত্র 'টুলকিট'! বিস্ফোরক অভিযোগে সরব বিজেপি
বাংলার মহিলা নেত্রীরা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেননি
বিজেপির অভ্যন্তরে অনেকেই বলছেন বাংলার মহিলা বিজেপি নেত্রীরা সেরকমভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারেননি। ২০১৯-এ হুগলি লোকসভা আসনে জয়ী হলেও, এবারে চুঁচুড়ায় হেরে গিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে রূপা গাঙ্গুলিও নিজেকে কর্মীদের মধ্যে মেলে ধরতে পারেননি। বিজেপির দরকার ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও এক মহিলাকে সামনে নিয়ে আসা। বর্তমানে যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারে কাছে আসতে পারেননি বলেও মনে করছেন অনেকে। তবে তার জন্য আরও যে সময় লাগবে, তাও মেনে নিয়েছেন নেতারা।