নয়াদিল্লি: পরপর ২ দিন ৩ লক্ষের নিচেই রইল করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পার করল না ৩ লক্ষের গণ্ডি। শুধু তাই নয়। সুস্থতার সংখ্যা পেরলো ৪ লক্ষ। করোনার এই নিম্নমুখী সংক্রমণের হার আশা জাগাচ্ছে। তবে কি করোনা জয়ের পথে ক্রমশ এগোচ্ছে দেশ?

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৩৩ জন। সোমবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। সোমবার ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে এটি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা অবশ্য বেড়েছে। সোমবার যেখানে ৪ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে মঙ্গলবারের হিসেব বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশা জাগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। সোমবারের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থতার হার এদিন দৈনিক সংক্রমণের থেকে বেশি তো অবশ্যই। তাছাড়া এদিন সুস্থতার সংখ্যা পেরিয়েছে ৪ লক্ষের গণ্ডি। সোমবার ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১ জন সুস্থ হয়েছিলেন। আর মঙ্গলবারের রিপোর্ট বলছে সুস্থতার সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লক্ষ ২২ হাজার ৪৩৬ জন।

এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৫২ লক্ষ ২৮ হাজার ৯৯৬ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৬৫ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫১২ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭১৯ জনের। মোট ১৮ কোটি ৪৪ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৪৯ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শিশুদের উপর প্রভাব ফেলছে সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর রাজ্যে মোট ২ হাজার ১৩১টি শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। আর এবছর ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে করোনার কবলে পড়েছে ২৬৪ জন শিশু। তারপর এপ্রিলের শেষ ১৫ দিনে সেই সংখ্যা বেড়ে একলাফে হয়ে যায় ১ হাজার ৫৩।এবং ১ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত করোনার কবলে পড়েছে ১ হাজার ৬১৮টি শিশু। অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে, ততই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.