
করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ
করোনা সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভে কাঁপছে গোটা দেশ। দৈনিক সংক্রমণে রাশ টানা গেলেও কিছুতেই দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যায় রাশ টানা যাচ্ছে না। দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভে ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলেও। গ্রামীণ এলাকার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রতিদিন মৃত্যু মিছিল দেখা দিয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় কীভাবে রাশ টানা যায় তার পথ খুঁজতে মরিয়া কেন্দ্র।
ভ্যাকসিন সংকট
করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়ানক আকার নিেয়ছে তখন গোটা দেশে শুরু হয়েছে তীব্র ভ্যাকসিন সংকট। মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার করছেন। হাসপাতালে ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না ভ্যাকসিন। এমনই সংকট তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ রাজ্যেই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ শুরু করা যায়নি।
করোনা আক্রান্তদের টিকাকরণ
প্রথম পর্যায়ে আগ্রাধিকা হিসেবে করোনা আক্রান্তদের টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল করোনা কাটিয়ে সেরে ওঠার ৬ মাসের মধ্যে টিকাকরণ করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে সেটা আরও বাড়ানো যায়। তাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার ৯ মাসের মধ্যে টিকা নিলেই হবে। এমনই পরামর্শ গিয়েছে গভর্নমেন্ট প্যানেল। নীতি আয়োগ এর আগে ৬ মাসের মধ্যে টিকাকরণের কথা বলেছিল।
টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান বেড়েছে
করোনা টিকার দুটি ডোজের ব্যবধান বেড়েছে। কভিশিল্ডের দুটি ডোজের করোনা টিকার ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কোভ্যাক্সিনের করোনা টিকার ব্যবধান চার থেকে ৮ সপ্তাহ রাখা হয়েছে। করোনা টিকার ডোজের ব্যবধান বাড়ায় সংকট অনেকটাই মিটবে বলে জানা গিয়েছে।