কলকাতা: শারীরিক অসুস্থতা আগেই ছিল। নিয়মিত দু’বেলা পেটের সমস্যার জন্য ওষুধও খেতে হয় তাঁকে। প্রেসিডেন্সি জেলে জ্বর এসেছে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। তড়িঘড়ি তাঁকে জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখানো হয়। তবে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
গতকাল রাতে ওষুধ খেলেও খাবার খাননি ফিরহাদ হাকিম। রাতভর তিনি ঘুমোননি বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে। সকালে চা ,বিস্কুট ও ওষুধ খেয়েছেন তিনি। বর্তমানে জেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হলেও পরে তাঁকে এসএসকেএমে (SSKM) আনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
প্রেসিডেন্সি জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র (Madan Mitra) ও শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার ভোররাতে দু’জনকেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন দু’জন। তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। অন্যদিকে শোভন চট্টোপাধ্যায়েরও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। তাঁকেও অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছে।
তবে তাঁদের সঙ্গেই এদিন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও (Subrata Mukherjee) হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে প্রথমে শারীরিক পরীক্ষা করাননি বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। ভোররাতে ফের প্রেসিডেন্সি জেলেই ফিরে যান তিনি। পরে অবশ্য এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত সেখানেই মন্ত্রীর রুটিন মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ফিরহাদ হাকিমকে আপাতত জেলের চিকিৎসকরাই পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ।
সোমবার সকালে নারদ মামলায় (Narad Case) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)গ্রেফতার করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে। গ্রেফতার করা হয় সম্প্রতি বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ করা শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। গ্রেফতার হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। গ্রেফতার করা হয় একদা মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও।
দলের নেতারা গ্রেফতার হওয়ায় সোমবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে গিয়ে প্রায় ৬ ঘণ্টা বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শেষমেশ সন্ধেয় সিবিআই বিশেষ আদালত জামিন দেয় এই চার নেতাকে। যদিও রাতেই সেই জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত বুধবার পর্যন্ত জেলেই থাকার নির্দেশ দেওয়া হয় চার নেতাকে। বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি করবে কলকাতা হাইকোর্ট।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.