ফের সরকার গড়লেন বিজয়ন
বিজেপি কংগ্রেসের সব রকম প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে ফের বামেরা জয়ী কেরলে। দক্ষিণের এই লালদূর্তে সূচ ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। শেষ পর্যন্ত এর প্রকার হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহরা। পিনারাই বিজয়নের এই জয়ের নেপথ্যে রয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা। কারণ পর পর একাধিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছ কেরল। প্রতিক্ষেত্রেই সাফল্যের সঙ্গে তার মোকাবিলা করেছেন বিজয়ন। তাই সেই সাফল্যে পুরস্কার কেরলবাসী তাঁকে ফের ক্ষমতায় এনে দিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভা গড়লেন পিনারাই বিজয়ন
দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই মন্ত্রিসভা সাজালেন পিনারাই বিজয়ন। এবার কেরলে বামেজের লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন একাধিক নতুন মুখ। নতুন প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতেই একাধিক আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রবীণ দুঁদে নেতারা। তাতে ক্ষতি হয়নি বামেদের। নতুনরাও মান রেখেছেন পুরাতনীদের। বিজয়নকে ফের ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছেন তাঁরা। তাই এবার বিজয়নের মন্ত্রিসভায় দেখা মিলিছে নতুন মুখদের।
বাদ গেলেন শৈলজা
বিজয়নের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন কে কে শৈলজা। তাঁকে আর এবার মন্ত্রিগোষ্ঠিতে সামিল করেননি বিজয়ন। অথচ রাজ্যের একের পর এক কঠিন পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন িতনি। নিপা ভাইরাস থেকে করোনা সংক্রমণ একাধিক মারণ রোগের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়েছিল কেরলে। সবার প্রথম কেরলেই ছড়িয়েছিল করোনা ভাইরাস। কে কে শৈলজাই ছিলেন সেসময় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তিনি সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তাঁর প্রশংসা করা হয়।
বিজয়নের সমালোচনা
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যিনি সাফল্যর সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁকে হঠাৎ করে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যখন দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। সেখানে হঠাৎ করে শৈলজাকে সরিয়ে অন্য কাউকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে বসালে কতটা সাফল্য আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল।