কোচি: সদ্য সমাপ্ত হয়েছে কেরল বিধানসভা নির্বাচনে (Kerala Assembly Election) ইতিহাস তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে পিনরাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ারও কথা রয়েছে তাঁর।

এবার কেরল মন্ত্রিসভায় (Kerala Cabinet) বড় চমক দেখা গিয়েছে। একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan) ছাড়া মন্ত্রিসভায় গতবারের কোনও মন্ত্রী জায়গা পাননি। এমনকী পিনরাই বিজয়নের মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে ভাল কাজ করা, সবচেয়ে বেশি ভোটে জেতা স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা (K K Shailaja) কেও মন্ত্রিত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পিনরাই বিজয়নের ক্যাবিনেটে সিপিএমের যে ১১ জন মন্ত্রী থাকছেন তারা সবাই নতুন। একদিকে তরুণ তুর্কি অন্যদিকে ও অভিজ্ঞতার মিশেলেই তৈরি হবে বিজয়ন টু সরকার। পাশাপাশি এলডিএফ থেকে সিপিআইয়ের চারজন, কেরল কংগ্রেস (এম), জনতা দল (এস), এবং এনসিপি-র একজন করে সদস্য মন্ত্রী হচ্ছেন।

পিনরাই বিজয়ন এর জামাতা পিএ মোহামাদ রিয়াস নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছে। পার্টির সেক্রেটারি এ বিজয়রাঘাওয়ানের স্ত্রী আর বিন্দুও নতুন মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।

শৈলজাকে মন্ত্রিত্বের বদলে পার্টির চিফ হুইপ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করা শৈলজাকে মন্ত্রিত্ব না দেওয়ায় কেরলবাসীর মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসে নেতা শশী থারুরও শৈলজাকে মন্ত্রী না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। এই বছরের বিধানসভা নির্বাচনে মিকেটুর বিধানসভা আসন থেকে কে কে শৈলজা জিতেছিলেন। এবার তিনি রেকর্ড ভোট পেয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও তাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সূত্র মতে, এবার মন্ত্রিসভায় নতুন মুখের প্রতি বেশি নজর রয়েছে এবং এর কারণে কে কে শৈলজাকেও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

উল্লেখ্য, কেরলে ১৪১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বামেদের এলডিএফ ৯৯টি-তে জিতে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরেছে। সেখানে কংগ্রেসের জোট ইউডিএফ পেয়েছে ৪৭টি আসন। বিশালপ্রচার করেও বিজেপি একটি আসনও পায়নি। গতবার অর্থাৎ ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের চেয়ে ৮টি বেশি আসনে জেতে বামেরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.