করোনা সংক্রমণের হার উর্দ্ধমুখী। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। এই অবস্থায় সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বর মন্দিরের দরজা।
বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদীর তীরে প্রাচীণ ও ঐতিহ্যবাহী এক্তেশ্বর মন্দিরে প্রতিদিন অসংখ্য পূণ্যার্থী ভীড় করেন। বিশেষ বিশেষ দিনে সেই সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশিকা মেনে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে সাধারণ পূণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে সীমিত সংখ্যক লোককে দিয়ে নিত্যপূজা সহ অন্যান্য ধর্মীয় রীতি নীতি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে মন্দির কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে।
মন্দির কমিটির সদস্য মাধব দেওঘরিয়া বলেন, করোনা পরিস্থিতির বিচারে আমরা এই মুহূর্তে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকারী গাইড লাইন মেনেই মন্দিরের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে। নতুন করে সরকারি নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ থাকবে বলে তিনি জানান।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে বন্ধ হয়েছে ৪টি বড় মন্দিরের ফটক। তারকেশ্বর মন্দির আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ বার সেই পথে হেঁটে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর ও তারাপীঠের দেবালয়ের সদর দরজা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত কয়েকদিন আগেই এই সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার অঘোষিত ভাবে লকডাউন জারি করে দিয়েছে নবান্ন। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন আগামী ১৫ দিনের বিধিনিষেধের তালিকা। এরপরেই মন্দির প্রশাসনের আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ৮ তারিখেই বৈঠকে বসেন মন্দির কমিটির শীর্ষ কর্তারা। ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ৯ মে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তারকেশ্বরের মন্দির। ভক্তদের জন্য তারকনাথের দর্শন কবে থেকে সম্ভব হবে, তা নিয়ে কোনও যুৎসই উত্তর দিতে পারেনি মন্দির কমিটি। দক্ষিণেশ্বর মন্দির কমিটি অবশ্য এখনই মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও, মন্দিরে আমজনতার প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। মন্দিরের ভিতর যাবতীয় রীতিনীতি মেনে পুজো হলেও, আপাতত দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছেন দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দিরের অছি কুশল চৌধুরী। তাঁর কথায়, ''সংক্রমণের কারণেই আমরা দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করব।''