নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনার উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। মারণ ব্যাধির দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। মহামারীর এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও দেশকে গৌরবান্বিত করলেন ভারতীয় সুন্দরী অ্যাডলিনে কোয়াড্রোস ক্যাসটেলিনো (Adline Castelino)।
নামটা শুনতে খটমট হলেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যাডলিনে কোয়াড্রোস ক্যাসটেলিনো মিস (Miss Diva Universe) ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারত থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রতিযোগীতায় সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যদিও এবছর ৬৯তম মিস ইউনিভার্স হয়েছেন মেক্সিকোর আন্দ্রেয়া মেজা।
জানা গিয়েছে, আদতে কুয়েতের বাসিন্দা অ্যাডলিনে কোয়াড্রোস ক্যাসটেলিনো। ভারতে ফিরে আসেন আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার জন্য। তিনি শুধুমাত্র বিজয়ী হয়ে বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নিজের নাম বিউটি পেজেন্টে লিখিয়েছিলেন।
শুধু তাই নয়, ৬৯ তম মিস ইউনিভার্স পেজেন্ট শো অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৬ মে ফ্লোরিডার ব্যবসায় স্নাতক(Florida Seminole Hard Rock Hotel & Casino – Hollywood) এ। এই অনুষ্ঠানে মিস ডিভা ইউনিভার্স ২০২০ মুকুট পেয়েছেন তিনি। তবে এই প্রতিযোগীতায় মিস ইউনিভার্স না হতে পারলেও বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জল করেছেন তিনি।
প্রতিযোগীতায় অ্যাডলিনে কোয়াড্রোস ক্যাসটেলিনোকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে দৃপ্ত কন্ঠে প্রতিটা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, মহিলাদের সমান অধিকার, বর্তমানে প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের চেয়ে অন্যকিছু বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সওয়াল করেছেন তিনি।
একটি প্রশ্নের উত্তরে ক্যাসেলিনো বলেন, ” ভারত থেকে এখানে এসে একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বুঝতে পারছি, ভারত এখন ঠিক কী করছে। এখন এমন একটা সময় যেখানে প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের থেকে অন্য কোনও কিছুই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এই সময় আপনাকে অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। আর এটি তখনই করা সম্ভব যখন সরকার জনগণের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে এবং এমন কিছু তৈরি করবে যা অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কাজ করবে।”
এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমার অভিনয়ে কোনও আপত্তি নেই। তবে ব্যবসায় স্নাতক আমি। তাই আমার আবেগ রয়েছে ব্যবসায় আর আগ্রহও সেখানে। তবে দেখা যাক ভবিষ্যতে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.