নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে তান্ডব চালাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave of Coronavirus)। মারণ ব্যাধির থাবায় বিপর্যস্ত জনজীবন। এই অবস্থায় সংক্রমণের দাপট ঠেকাতে বিভিন্ন রাজ্যে চলছে দফায় দফায় লকডাউন (Lockdown)। তবুও বাগে আনা যাচ্ছে না মারণ করোনাকে। ঊর্ধ্বমুখী আক্রান্ত ও মৃতের গ্রাফচিত্র। চারিদিকে জ্বলছে গণচিতা। অক্সিজেন, বেডের আকাল। মানুষের হাহাকার আর ভেসে উঠছে অসহায়তার ছবি।
তবে এই দেশজুড়ে অক্সিজেন সংকটের মধ্যে আশার আলো দেখাছে বোম্বে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (IIT) শিক্ষার্থীরা। বোম্বে আইআইটির (Bombay IIT)ছাত্ররা এমন একটি প্রোটোটাইপ ডিভাইস (Prototype Devices) তৈরি করেছে যেটি এই সংকটময় পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের(Oxygen) অপচয় রোধ করবে। নতুন ডিভাইসটি কোভিড -১৯ রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন আইআইটি-বি কে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ নোরোনার।
তিনি আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত এই সিস্টেমটি আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের উপর পরীক্ষা করে দেখেছি। খুব তাড়াতাড়ি এটির একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার পরিকল্পনা করছি। তবে, ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন সময়ে যদি কেউ এটি ব্যবহার করতে চান, তাহলে তাঁরা নিতে পারবেন। আমরা আমাদের এই সিস্টেমটিকে সর্বজনীন করে তুলেছি। যাতে এর মধ্যে যদি কেউ এটি ব্যবহার করতে চায় তবে তারা তা করতে পারেন। এটি ডাইভিং এবং মাউন্টেনিয়ারিং সিস্টেমে ব্যবহৃত একটি প্রযুক্তি।” তিনি আরও জানান, দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে তাদের তৈরি এই ডিভাইস অনেক কাজে দেবে বলে তিনি আশাবাদী।
অন্যদিকে,মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৩৩ জন। সোমবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কম। সোমবার ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে এটি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তবে আশা জাগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। সোমবারের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থতার হার এদিন দৈনিক সংক্রমণের থেকে বেশি তো অবশ্যই। তাছাড়া এদিন সুস্থতার সংখ্যা পেরিয়েছে ৪ লক্ষের গণ্ডি। সোমবার ৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৪১ জন সুস্থ হয়েছিলেন। আর মঙ্গলবারের রিপোর্ট বলছে সুস্থতার সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ লক্ষ ২২ হাজার ৪৩৬ জন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.