রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বলছে, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গে সবচেয়ে বড় ধাক্কা নেমে এসেছে উন্নয়নে গতিশীলতা, ব্যয়-সংকোচন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মাসিক বুলেটিনে উল্লেখ করেছে যে, কোভিড ১৯-এর থাবায় চলতি আর্থিক বছরের প্রথম প্রান্তিকের প্রথমার্ধে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ থামিয়ে দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ করেছে না।
বিগত এক বছর ধরে করোনার মহামারীতে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ। সবে ভারত উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ হানা দেয় ভারতে। ফের অর্থনৈতিক গতি হ্রাস পেতে শুরু করে। এটি পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে যে, করোনা মহামারীর দ্বিতীয় তরঙ্গের বাড়বাড়ন্ত ভারতকে বিশেষ প্রভাবিত করেছে।
মহামারী চলাকালীন নন-ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থা বা এনবিএফসিগুলির পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে আরবিআই বলেছে, তারা ব্যাংক ঋণের পরিপূরক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি প্রচার চালিয়েছে। তারা দেশের আর্থিক মধ্যস্থতা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যদিও ২০২০-২১'এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তে এনবিএফসিগুলির একীভূত ব্যালান্সশিট ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল। নন-ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থা বা এনবিএফসি যে সেক্টরকে ঋণ দেয়, তার মধ্যে শিল্প খাত বিশেষত ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পগুলি মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।