আহমেদাবাদ: ভারতের পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চলে আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় তউকতে (Tauktae)। বর্তমানে এটি আরব সাগরের উপর অবস্থান করছে। ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে তউকতে। পরিণত হয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। আজকে রাত ৮ টা থেকে ১১ টার মধ্যে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে গুজরাট (Gujrat) উপকূলে। মঙ্গলবার সকালে পোরবন্দর ও মহুবার মধ্যে প্রবেশ করবে এই সাইক্লোন (Cyclone)।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরব সাগরের উপর বিধ্বংসী এই ঝোড়ো হাওয়ার বেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার। প্রায় ছয় ঘন্টা আরব সাগরের উপর তান্ডব দেখিয়ে উপকুলে যখন আছড়ে পড়বে তখন প্রায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি গতিবেগ থাকবে। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে মহারাষ্ট্র উপকূলে প্রবল জলোচ্ছাস দেখা যাবে। এই সাইক্লোনের চক্ষু বর্তমানে মুম্বইয়ের পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম প্রান্ত থেকে প্রায় ১৪২ কিলোমিটার এবং দিউ থেকে ১৮২কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত।

Extremely Severe Cyclonic Storm Tauktae
INSAT 3D satellite-based centre position
at 1130 IST – 19.2N & 71.5E
Distance from Diu is 182km (South-southeast)
Distance from Mumbai is 142km (west-northwest) pic.twitter.com/rr6w8PxOOO

— India Meteorological Department (@Indiametdept) May 17, 2021

আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পোরবন্দর, আমরেলি, জুনাগড়, গির সোমনাথ, ভবনগর ও বোতাড় এলাকায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি দেবভূমি দ্বারকা, কচ্ছ, জামনগর, রাজকোট ও মোরবি, ভালসাদ, সুরাট, ভাদোদরা, বারুচ, নবসারি, আনন্দ ও আহমেদাবাদ জেলাতেও প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। গোয়ায় ডপলার ওয়েদার ব়্যাডারের সাহায্যে এই সাইক্লোনকে ট্র্যাক করার কাজ চলছে।

এর প্রতিটি মুহূর্তের উপর নজর রাখা হচ্ছে। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূল থেকে ১.৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। ২৫ হাজার জনকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কেউ আহত বা নিহত হননি। ৪৪টি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের (NDRF) টিম কাজ করছে। পাশাপাশি SDRF ও দমকলকর্মীরাও রয়েছেন।মহারাষ্ট্র ও গোয়া উপকূলে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে এই ঘূর্ণিঝড়। কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে এই দুই রাজ্যের উপকূল অঞ্চল।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.