দুবাই: উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে ‘ক্লিনচিট’ দেওয়া হল আল জাজিরার (Al Jazeera) তথ্যচিত্রে গড়াপেটাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন পাঁচ ক্রিকেটারকে। ভিত্তিহীন প্রমাণিত হল আল জাজিরার বিস্ফোরক তথ্যচিত্রটিও। তিনবছর আগে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের এক তথ্যচিত্রের মধ্যে দিয়ে পাঁচ গড়াপেটাকারী ক্রিকেটারকে সন্দেহের তালিকাভুক্ত করে। এদের মধ্যে তিনজন ইংরেজ এবং দু’জন অজি ক্রিকেটার। যা গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।

গোটা বিষয়টিকে সোমবার ‘অনর্থক’ বলে ঘোষণা করল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি (ICC)। ২৭মে, ২০১৮ আল জাজিরা ‘Cricket’s Match Fixers’ নামে ওই তথ্যচিত্র গোটা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করে। সেখানে অভিযোগ করা হয় ২০১৬ চেন্নাইয়ে ভারত বনাম ইংল্যান্ড (INDvs ENG) এবং ২০১৭ রাঁচিতে অনুষ্ঠিত ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS) টেস্ট ম্যাচ দু’টির নির্বাচিত কিছু অংশ ফিক্সড (Fixed) হয়েছিল।

আল জাজিরার ওই তথ্যচিত্রে অনিল মুন্নাওয়ার (Aneel Munnawar) নামে সন্দেহভাজন এক ভারতীয় বুকি দাবি করেন ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগসূত্র। একইসঙ্গে দু’টি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত হিসেবে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ক্রিকেটারের নাম করেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের মিডিয়া নেটওয়ার্কটির তথ্যচিত্রের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে আইসিসির দুর্নীতি-দমন শাখা (ICC Anti-Corruption Unit)।

সোমবার সন্দেহভাজন প্রত্যেককে ক্লিনচিট দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানায়, তথ্যচিত্রে উল্লিখিত সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের কেউই বেফাঁস কোনও মন্তব্য করেনি। তাদের আচরণ সন্দেহের জন্ম দিলেও বিশ্বাসযোগ্য কোনও প্রমাণ নেই যে তাদের অভিযুক্ত করা যাবে। ঘটনার তদন্তে চারজন স্বতন্ত্র বেটিং এবং ক্রিকেট বিশেষজ্ঞকে তারা ব্যবহার করেছিল বলে মিডিয়া রিলিজে জানিয়েছেন আইসিসি। তারা জানিয়েছে, ‘তথ্যচিত্রে গড়াপেটার দাবি অনুযায়ী যে চারজনকে তদন্তে নিয়োগ করা হয়েছিল তারা তদন্ত শেষে জানিয়েছে গোটা ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনুমেয়। অতএব গড়াপেটার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

দুর্নীতি-দমন শাখার আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট তথ্যচিত্রে সন্দেহভাজন পাঁচজনের কারও বিরুদ্ধেই কোনও অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে আইসিসি। তথ্যচিত্রের দাবি, সন্দেহভাজনকারী পাঁচ ক্রিকেটার এবং তথ্যচিত্র কীভাবে তাদের প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছে- মূলত এই তিনটি বিষয়ে ফোকাস করেই তদন্ত গতি পায়। কিন্তু আইসিসির দুর্নীতিদম শাখার তদন্তে তথ্যচিত্রের প্রত্যেকটি বিভাগের ভিত্তিই দুর্বল বলে দাবি করেছেন আইসিসি জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল (Alex Marshall)।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.