গত একমাসে ভারতে কার্যত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে রোজই দেশে প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এদিকে দেশের এই পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারের ব্যর্থতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। এবার তাতে সিলমোহর দিয়েই কেন্দ্রীয় প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ালেন বিখ্যাত ভাইরাসবিদ শাহিদ জামিল।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট পরীক্ষা নিরীক্ষায় একটি কমিটি গড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কমিটির শীর্ষ পদেও ছিলেন তিনি। এদিকে ভারতে করোনার বাড়বাড়ন্তের বিছনে নয়া ডবল মিউট্যান্ট ভ্যারিয়েন্টই দুষছেন সকলে। কিন্তু শাহিদ জামিলের দাবি অনেক আগেই কেন্দ্রকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে তাঁর পদত্যাগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র চাপানৌতর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শাহিদের স্পষ্ট দাবি মার্চের গোড়াতেই যে দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়বে, তা বলাই হচ্ছিল, কিন্তু কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করা হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে শাহিদ জামিল বলেছিলেন, E484K নামে আরও একটি মিউট্যান্ট আছে। সেটারই হালকা ভ্যারিয়েশন হল ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অংশ। যে ডবল ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভারতে আলোচনা হয়েছে, তাতে ১৫টি পৃথক মিউটেশন আছে। এই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছিল কেন্দ্রকে। কিন্তু আগাম কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে বিপুল জনঘনত্বের দেশে কেন টিকা নিয়ে আরও তৎপরতা নেওয়া হল না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এদিকে করোনা মোকবালিয়া আন্তর্জাতিক স্তরেও মুখ পুড়েছে ভারত সরকারের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করে জানিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এই মারাত্মক অবস্থার জন্য দায়ী শুধুমাত্র ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জমায়েত। কিন্তু তারপরেও হুশ ফেরেনি কেন্দ্রের।