গাজা : সাতদিন হতে চলল তবুও থামার নাম নেই। অব্যাহত মৃত্যু মিছিল। ইজরায়েলের(Israel) এয়ারস্ট্রাইকে (Air Strike) বারংবার কেঁপে উঠছে গাজা। চোখের সামনে নিমেষের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক বহুতল। রবিবার ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণে গুঁড়িয়ে গিয়েছে তিনটি বাড়ি। নিহত অন্তত ৪২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশুও রয়েছে। নিখোঁজ ও আহতদের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি।

এদিকে গাজার(Gaza) স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইজরায়েল(Israel) সেনাবাহিনীর হামলায় গাজায় মৃতের সংখ্যা ১৯২ পার করেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৫৮ জন শিশু। তবে ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছে যে, হামাসের পাল্ট আক্রমণে ১০ জন ইজরায়েলি মারা গিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জন শিশুও রয়েছে।

অন্যদিকে, নৃশংস এই হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের (UN) সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস(Antonio Guterres) । রবিবার তিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে অবিলম্বে দুই দেশের মধ্যে ঘটে চলা যুদ্ধের অবসানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “গত সোমবার থেকে ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে ঘটে চলা এই নৃশংস ঘটনা পুরোপুরি হতাশাজনক। শীঘ্রই এর অবসান হওয়া জরুরি।” এছাড়াও তিনি জাতিসংঘের তরফে দুই দেশের মধ্যস্থতার মাধ্যমে এই জটিল পরিস্থিতির অবসান ঘটানো জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের কথা ঘোষণা করেছেন।

যদিও এই বিষয়ে প্যালেস্টাইনের(Palestine) বিদেশমন্ত্রী(Foreign Minister Riyad al-Malki) রিয়াদ আল-মালকি নিরাপত্তা পরিষদে জানিয়েছেন যে, প্রতিবারই ইজরায়েল যখন বিদেশি নেতাদের তরফে থেকে নিজেদের অধিকারের কথা শুনবে ততবারই তারা ঘুমের মধ্যে একের পর এক প্যালেস্টাইনদের(Palestinians) হত্যা করবে।

অন্যদিকে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত (UN Ambassador Gilad Erdan) গিলাদ এরদান বলেন যে, “হামাসের নির্বিচারে হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইজরায়েল সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।” তিনি আরও বলেন, “ইজরায়েল তাদের শিশুদের রক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ব্যবহার করে। হামাসরা তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি রক্ষার জন্য শিশুদের ব্যবহার করে।”

যদিও ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু (Israeli PM Netanyahu) আগেই বলেছিলেন যে, “যুদ্ধ এখনই শেষ হচ্ছে না। আমাদের অপারেশন চলবে। এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমরা প্রথমে হামলা করিনি। যারা এই অশান্তি শুরু করেছে, তারাই দোষী। আমরা এখন অপারেশনের মাঝপথে আছি। এখনও শেষ হয়নি অপারেশন।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.