কলকাতাঃ এই মুহূর্তে নিজাম প্যালেস থেকে বিরাট গাড়ির কনভয় করে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হল। ফিরহাদ হাকিমের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনী হাকিম তৃণমূল সমর্থকদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানান।
বলেন, বাংলার আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ।
রাত ১ টা ০৬ মিনিট নাগাদ একে একে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় বেরিয়ে আসেন। বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এদের ঘিরে রাখে।
মদন মিত্র বলেন, “আমরা খারাপ। শুভেন্দু আর মুকুল ভালো। বেল পেলাম বার হওয়া গেল না। আমরা খারাপ।”
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে বাহিনী।
উদ্দেশ্য প্রনেদিতভাবে এটা হল। আমরা আইনের পথে যাব। আমি অন্যায় করিনি।”
ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমি ভারতের আইনে ভরসা রাখি। বিজেপি সব কিনে নিতে পারে সিবিআই, ইডি।
আমি জনপ্রিয়। হাজার হাজার লোক এসেছে। আমার জামিন কেন বাতিল হল?
আমার বিচার ব্যবস্থার ওপর ভরসা আছে। আমার করোনা ব্যবস্থাপনা, টিকাকরণ, স্যানিটাইজেশনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।
কলকাতার মানুষকে বাঁচানোর দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় দিয়েছিলেন। সেটা করতে দেওয়া হল না।” বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরহাদ হাকিম।
মদন মিত্র বলেন, “আমার স্ত্রী হোম আইসোলেশনে। বলার কিছু নেই। মানুষ সব দেখছে।”
নিজাম প্যালেস থেকে এই চার হেভিওয়েটের স্থান হল প্রেসিডেন্সি জেল। পরবর্তী শুনানি বুধবার, ১৯ মে।
১:২০ নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে ঢোকানো হলো এই চার নেতাকে। নিজাম প্যালেসে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখার্জির স্ত্রী ছন্দবাণী মুখার্জি, শোভনের পুত্র, ফিরহাদ হাকিমের বড়ো কন্যা ছন্দবাণী হাকিম, শোভন চট্টপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী এবং প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী।
জেলে ঢোকার মুখে তৃণমূল সমর্থকরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী সবাইকে স্লোগান দিতে নিষেধ করেন।
সার্বিকভাবে এই ৪ জন নেতার মধ্যে নিজাম প্যালেস থেকে বের হওয়ার সময় মুখ খোলেন সুব্রত বাদে বাকি সবাই। প্রত্যেকেই বলেন বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা আছে।
ফিরহাদ বলেন “কলকাতার মানুষকে বাঁচানোর কাজ আমায় করতে দেওয়া হলো না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.