গ্রেফতার তৃণমূলের চার বিধায়ক
করোনা মহামাির নিয়ে যেখন গোটা দেশে তুমুল সংকট। ঠিক তখনই বঙ্গের রাজনীতি তোলপাড় করে তুলল সিবিআই। সাত সকালে চার তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মধ্যে ১ জন মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। অত্যন্ত সুপরকল্পিত পথেই তাঁদের বাড়িতে হানা দিয়ে নিজাম প্যাসলেসে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়।
মুকুল গ্রেফতার নয় কেন
চার তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারির পরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নিজাম প্যালেস অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। নিজাম প্যালেস লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করা হয়। উত্তেজনায় ফুটছে নিজাম প্যালেস এলাকা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আর আদালতে চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাননি সিবিআইআধিকারীকরা। তাঁরা ভার্চুয়াল শুনানির আর্জি জানান। সেই মতোই ভার্চুয়াল শুনানিতে চার অভুযুক্তকে আদালতে পেশ করা হবে। এবং চার্জ শিট দেওয়া হবে।
মুকুল কেন গ্রেফতার নয়
চার বিধায়কের গ্রেফতারির পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নারদ স্টিং কাণ্ডে মুকুল রায়েরও নাম ছিল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি তাঁকে রেহাই দিয়েছে বিজেপি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজেপি যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকেও গ্রেফতার করা হয়নি।
জবাব দিল সিবিআই
সিবিআই এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। তাঁদের দাবি মুকুল রায়কে ভিডিওতে টাকা নিতে দেখা যায়নি। তাই তদন্তে ক্ষেত্রে মুকুল রােয়র বিরুদ্ধে তেমন পোক্ত প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়াও মুকুল রায় রাজ্যসভার সাংসদ থাকাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তার পরেও মুকুল রায়ের গ্রেফতারি বা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্য সভার স্পিকারের কাছে কোনও আবেদন সিবিআই জানায়নি।