স্টাফ রিপোর্টার, রায়গঞ্জ: অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের। নিহতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশুও। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ভরতপুর গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মৃত পাঁচ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক অনটনের জন্যই আত্মহত্যা করেছে এই পরিবার৷

আরও পড়ুন: ভারতে আবিষ্কৃত করোনা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম: ব্রিটিশ বিজ্ঞানী

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে হেমতাবাদ থানার ভরতপুর এলাকার কিসমত মালভুসা গ্রামে ৩ কন্যা সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন রাম ভৌমিক।  প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শুক্রবার রাতে পরিবারের সকলের খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমিয়ে গেলে বন্ধ ঘরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ স্থানীয়দেরও দাবি, শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ তাঁরা দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে টিনের বাড়ি৷ তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষনে পুরো ভস্মীভূত হয়ে যান রাম ভৌমিক ও (৪০), তাঁর স্ত্রী শঙ্করী ভৌমিক (৩২), তাঁদের তিন কন্যাসন্তান, রানী ভৌমিক (১২), পর্ণা ভৌমিক (৭) ও সরস্বতী ভৌমিকের (৪)। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ব্যানক্রফটের মন্তব্যের পর ‘স্যান্ডপেপার গেট’ কান্ডের পুনর্তদন্ত করবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এবং শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  মৃত্যু হয়েছে পরিবারের চারজন সদস্যের!  প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা জানিয়েছেন, সংসারে অনটন ছিল৷ আংশিক লকডাউন চালু হতেই কাজ হারিয়েছিলেন গৃহকর্তা রাম ভৌমিক। ইদানিং একটি ভ্য়ান চালানোর পাশাপাশি ঝাড়ুর ব্যবসা করছিলেন।  তাতে বিশেষ লাভ হচ্ছিল না। তবে স্থানীয় বি ডি ও এদিন তদন্তে এসে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ শনিবার ঘটনাস্থলে যান উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।

আরও পড়ুন: ‘রোগীদের মৃত্যু দেখা কষ্টকর’, ফেসবুক লাইভে কেঁদে ফেললেন কলকাতার চিকিৎসক

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.