লন্ডন: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাত (Israel-Palestine Conflict)। বিশ্বের দু’টি রাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা সবচেয়ে দীর্ঘ সংঘাত। সম্প্রতি এই সংঘাত শিরোনামে গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসন ফের মাথাচাড়া দেওয়ায়। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্যালেস্তাইনে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির আগ্রাসনের প্রতিবাদ মঞ্চ হিসেবে দেখা দিল শনিবাসরীয় এফএ কাপ ফাইনাল (FA Cup Final)।

চেলসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এদিন ওয়েম্বলিতে (Wembley) ইতিহাসে প্রথমবার এফএ কাপের স্বাদ পেয়েছে লেস্টার সিটি (Leicester City)। আর ম্যাচ জয়ের পর সেলিব্রেশনের মাঝেই প্রতিবাদ ভেসে এল লেস্টারের দুই ফুটবলার হামজা চৌধুরি (Hamza Choudhury) এবং ওয়েসলে ফোফানা (Wesley Fofana)মারফৎ। ট্রফি জয়ের সেলিব্রেশনের মাঝেই প্যালেস্তাইনের পতাকা প্রদর্শিত করে ভরা ওয়েম্বলিতে গাজায় (Gaza) ইজরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানান দুই ফুটবলার। ইউরোপের বেশ কয়েকটি বড় বড় শহরে শনিবার সারাদিন ধরেই ইজরায়েলি হিংসার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল মানুষ।

লন্ডন, বার্লিন, মাদ্রিদ, প্যারিসের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষ প্যালেস্তাইনের সমব্যথী হয়ে গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রর্শন করেন। তার আঁচ ওয়েম্বলিতেও। বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত হামজা এদিন প্যালেস্তাইনের পতাকা গায়ে জড়িয়েই পুরস্কার প্রদানের মঞ্চ থেকে স্মারক সংগ্রহ করেন। এফএ কাপের মঞ্চ থেকে ইংরেজ এবং ফরাসি দুই ফুটবলারের এই মৌন প্রতিবাদ স্বাভাবিকভাবেই খবরের শিরোনামে।

আর্সেনালের (Arsenal) মিশরীয় মিডফিল্ডার মোহামেদ এলনেনি (Mohamed Elneny) সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে প্যালেস্তাইনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘আমার হৃদয়, আমার আত্মা, আমার সমর্থন সবকিছুই প্যালেস্তাইনের সঙ্গে।’ যদিও তাঁর সেই পোস্ট ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়ে জেউইস সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। যদিও এলনেনি সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন ক্লাবের।

উল্লেখ্য, ইউরি টিয়েলম্যানসের (Youri Tielemans) একমাত্র গোলে শনিবার ব্লুজ’দের হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা দখল করেছে ২০১৫-১৬ প্রিমিয়র লিগ জয়ীরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন বেলজিয়ান মিডফিন্ডার। শেষদিকে চেলসি গোল পরিশোধ করলেও তা অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। লেস্টারের কাছে এই হার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে চেলসির কাছে বড় ধাক্কা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.