কলকাতা : কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়ে কেন্দ্রের রোজ নিয়ম বদল চলছেই। গত সপ্তাহেই সেরামের কোভিশিল্ড (SII) প্রতিষেধকের দু’টি টিকার ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক । তারা জানিয়েছে, প্রথম টিকা পাওয়ার পর তিন থেকে চার মাসের শেষে দ্বিতীয় টিকা দেওয়া হবে । কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মানুষের মধ্যে প্রবল ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যাঁরা আগেই দ্বিতীয় টিকার জন্য ‘কোউইন’ অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, তাঁদেরও কি নির্ধারিত ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে পরের ডোজ দেওয়া হবে? এই নিয়ে জটিলতা ছিলই । এরই মধ্যে এই বিষয়টি নিয়েই রবিবার নতুন বার্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health)।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এক বিবৃতিতে রবিবার জানিয়েছে, নতুন নিয়মে ৮৪ দিনের আগে কেউ দ্বিতীয় টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। তবে নতুন নিয়ম চালু হওয়ার আগে যাঁরা ৮৪ দিনের কম সময়ে নাম নথিভুক্ত করেছেন, তাঁদের নাম বাতিল করা হবে না। তাঁরা নির্ধারিত দিনেই টিকাকেন্দ্রে (Vaccination Center) গিয়ে দ্বিতীয় টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু উপভোক্তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অন্য কথা বলছে। অনেকেই জানিয়েছেন, টিকা নিতে গিয়ে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে। ৮৪ দিনের আগে টিকা দিতে রাজি হচ্ছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা (Health Worker)। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই অভিযোগ আসছে।
তবে এই ধরণের অভিযোগ সামনে আসতেই বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে জানিয়ে দিয়েছে , কোনও টিকা প্রাপককে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। তবে উপভোক্তাদের উদ্দেশেও কেন্দ্রের বার্তা, তাঁরা চাইলে ৮৪ দিন পর টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
তবে নতুন করে কো-উইন app এর মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করার সমস্যা অনেক। প্রথমত কো-উইনে নাম নথিভুক্ত করার জন্য ওটিপি সব ক্ষেত্রে আসে না। এছাড়াও রাজ্যের নিম্ন আয়ের মানুষ, প্রান্তিক মানুষদের সবার স্মার্ট ফোন নেই। তাই তারা কী ভাবে , কার মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করবেন? প্রশ্ন সেটাই । চিকিৎসকরা বলছেন, “কেন্দ্র টিকাকরণ নিয়ে যা করছে সেটা কোনও ভাবেই ভালো চিত্র তুলে ধরছে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.