১০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি
রাজ্যে চতুর্থ পর্যায়ে ১০ এপ্রিল ভোট ছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। সেদিন সকালে পাঠানটুলিতে দুষ্কৃতী হামলায় আনন্দ বর্মন নামে বছর তেইশের এক যুবকের মৃত্যু হয়। এরপর বেলা গড়াতেই জোরপাটকিতে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়। কার্যত ওই ঘটনার প্রভাব পড়ে বাকি চার দফায়।
শীতলকুচির তদন্তে বিশেষ দল
৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই এই ঘটনার তদন্তে জোর বাড়ে। বিশেষ দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যে টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন, ডিআইজি-সিআইডি স্পেশাল কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। বিশেষ তদন্তকারী দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২ অফিসার-সহ ৬ জনকে তলব করে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফ থেকে। কিন্তু তা নাকচ করে দেয় সিআইডি।
শীতলকুচি ঘটনার পরে মাথাভাঙায় গিয়ে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে। সেই মতো মোট পাঁচজনের পরিবারের একজন করে সদস্যের হাতে স্পেশাল হোমগার্ডের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ
ইতিমধ্যেই মাথাভাঙার আইসিকে ভবানীভবনে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। এছাড়াও তলব করা হয়েছিল মাথাভাঙা থানার দুই এএসআই সুব্রত মণ্ডল এবং রাফা বর্মনকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুব্রত মণ্ডল ১০ এপ্রিল কুইক রেসপন্স টিমের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অভিশপ্ত ১২৬ নম্বর বুথে নিয়ে গিয়েছিলেন।
সিআইডির টিম শীতলকুচি
সোমবার সিআইডির সিট যাচ্ছে শীতলকুচিতে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেখানে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। পাশাপাশি ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাও হতে পারে। পাশাপাশি ঘটনা সম্পর্কে জেলার পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাও যাচাই করা হবে।