বিক্ষোভের মুখে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, প্রতিবাদী কৃষকদের চালাতে লাঠি চার্জও করেছে পুলিশ। এমনকী ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। তাতে বহু কৃষক গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও খবর। এদিকে রবিবার হিসারে একটি করোনা হাসপাতালের উদ্বোধনে গিয়েছেলিনে বলে জানা যায়। তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতিবাদী কৃষকেরা।
বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ঠেকাতেই ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস
সূত্রের খবর, প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা করে হরিয়ানা পুলিশ। কিন্ত তাতে কাজ না হওয়াতেই শুরু হয় লাঠিচার্জ। কিন্তু বিক্ষুব্ধ কৃষকরা তাতেও না থামলে বাধ্য হয়েই কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয় বলে দাবি পুলিশের। এদিকে এর আগে ৪ এপ্রিল রোহতাকেও কৃষক বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মনোহরলাল। বিক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাডের স্থান পরিবর্তন করতে হয়। সেইবার লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল পুলিশ।
নভেম্বরের শেষ থেকে চলছে আন্দোলন
এদিকে গত বছরের নভেম্বরের শেষার্ধ থেকে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। এমনকী নয় কৃষি আইন বাতিলের দাবি শুরু থেকেই সরব ছিলেন হরিয়ানার কৃষকেরা। একটানা বিক্ষোভ চলছে টিকরি, সিঙ্ঘু, গাজীপুর সীমান্তে। কিন্তু হাজারও চেষ্টা সত্ত্বেও কোনও ভাবেই তাঁদের দমন করতে পারেনি বিজেপি সরকার।
১০০ টাকা 'দিশি' এক-দেড় হাজারে কালোবাজারি! মানতে না পারা মদন মিত্রের 'তিরস্কার'
নজর ঘোরাতেই কৃষকদের দিকে আঙুল ?
এদিকে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কুম্ভফেরত লোকেদের মাধ্যমে সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে। সঙ্গে রয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অব্যবস্থা। মিলছে না জীবনদায়ী ওষুধ। চরমে উঠেছে অক্সিজেন সঙ্কট। এমতাবস্থায় কৃষকদের দাবি নিজেদের ব্যবর্থা ঢাকতেই বর্তমানে করোনার দোষের আঙুল কৃষকদের দিকে তুলতে চাইছে মোদী সরকার। কিন্তু তারা আদপে সমস্ত করোনা বিধি মেনেই আন্দোলন চালাচ্ছেন বলেই দাবি কৃষকদের।