কলকাতা : শহরজুড়ে শূন্যতা। দেশ জুড়ে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য হাহাকার। হাসপাতালের বেডের সংকট। এই পরিস্থিতিতে আমরা কেউ ভালো নেই। কলকাতায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসছে তাদের সাহায্যের হাত নিয়ে কোভিড আক্রান্তদের মানুষ এবং পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। নিজেদের সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এবার অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত উদ্যোগ নিলেন কোভিড আক্রান্তদের জন্য একটি সুসজ্জিত সেফ হোম তৈরি করার। যেখানে করোনা আক্রান্তদের জন্য থাকবে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে ক্যান্টিনে বিনামূল্যে খাদ্য পাওয়ার সমস্ত পরিষেবা।

ঝাঁ চকচকে কুড়িটি বেড, সাতটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটটার, কুড়িটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ক্যান্টিনে বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা এই নিয়ে অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত শুরু করলেন কোভিড আক্রান্তদের জন্য সেফ হোম।
লেক মার্কেট লাগোয়া বাণীচক্র নাচের স্কুল আপাতত হয়ে উঠেছে কোভিড আক্রান্তদের জন্য একটি সেফ হোম। দিনরাত এক করে একে আরো বেশি সুসজ্জিত করে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেতা এবং এই সেফ হোম এর উদ্যোক্তা যিশু সেনগুপ্ত।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যিশু সেনগুপ্ত জানিয়েছেন এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল। পরিকল্পনা মাফিক কাজ ছিল এবং যিশু সেনগুপ্ত (Jisshu U Sengupta) এর এই উদ্যোগে সামিল হলেন সংগীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত (Indradeep Dasgupta)।

লেক মার্কেট অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বাড়ি দেখার পরেও, নানা কারণে কোন বাড়িই সেফ হোম তৈরি করার জন্য, সঠিক তা নির্বাচন করে উঠতে পারছিলেন না। অগত্যা তাঁরা দ্বারস্থ হয় রাসবিহারীর তৃণমূল নেতা দেবাশিস কুমারের(Debasish Kumar)। হাতে এক থেকে দুই দিন সময় চেয়ে নিয়ে দেবাশিস কুমার তারপরের দিনই যিশু সেনগুপ্তকে ফোন করে বলেন বাড়ি জোগাড় হয়ে গেছে। যিশু সেনগুপ্তের পুরনো পাড়ায় মার্কেটের পেছন দিকে বাণীচক্র স্কুলে তৈরি হয়েছে এই সেফহোম। তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে সমষ্টিগতভাবে যদি মানুষ মানুষের পাশে এসে না দাঁড়ায় তবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয় তাই তাঁর দিক থেকে যতটা সম্ভব প্রচেষ্টা নিয়ে তিনি পাশে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্তের। যিশু সেনগুপ্তের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে টলিউডের অন্দরমহলের ব্যক্তিত্বরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.