লকডাউন ঘোষণার পরেই মদের দোকানের সামনে লাইন
শনিবার দুপুরে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব জানান, রবিবার সকাল থেকে আগামী ১৫ দিনের জন্য বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা কিংবা বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই বন্ধ রাখা হবে জরুরি পরিষেবা ছাড়া। তার মধ্যে রয়েছে মদের দোকান। যা শোনার পরেই সুরা প্রেমিরা লাইন দেন বিভিন্ন জায়গায় থাকা মদের দোকানের সামনে। বেশিরভাগ জায়গাতেই কোভিড বিধি মানতে দেখা যায়নি সুরা প্রেমিদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব মদন মিত্র
এই বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে নিজের দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেখানে তিনি সরাসরি মদের নাম না এনে দিশি ও বিদেশির মাধ্যমে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে 'দিশি' নিয়ে যে কালোবাজারি শুরু হয়েছে, তাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
১০০ টাকা দিশি দেড় হাজারে কালোবাজারি
মদন মিত্র বলেছেন, মানুষের খুব পছন্দের জিনিস, যার জন্য লাইন দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তাঁর চোখে পড়েছে কালোবাজারি। তিনি তুলে এনেছেন ব্রিটিশ ভারতের কথা। বলেছেন, ব্রিটিশের সময় দেশের মানুষ বিদেশি জিনিস বর্জন করেছিল। আর এখনও অনেতে বিদেশি জিনিস বর্জন করে দিশি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, একশো টাকার দিশি এক-দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সুরা প্রেমিদের তিরস্কার
মদন মিত্র বলেছেন, একদিকে দোকানে লাইন পড়েছে। আর অন্যদিকে লাইন সেফ হোমে। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। যে লাইন তিনি দেখেছেন, তাতে মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সঙ্গে মদন মিত্র সরব হয়েছেন, নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, নার্সিংহোমগুলি এখন যে ব্যবসা করছে, তা তারা গত ১০০ বছরে করেছে কিনা সন্দেহ।
নিজের এলাকায় কোথাও সেফ হোম, কোথা অক্সিজেন পার্লার
ভোটের দিন অসুস্থ হয়ে পড়লেও, সুস্থ হয়েছে। তারপর নির্বাচনী জয় তাঁকে পরম প্রাপ্তি দিয়েছে। তারপর থেকে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছে এলাকায় সেফ হোম তৈরি করতে। হয়েওছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে অক্সিজেন পার্লার। ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন সবই। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের পাশে থাকতে পেরে নিজের খুশির কথাও জানিয়েছেন তিনি।