কার্যত লকডাউন। লকডাউনেই বিয়ে হল রানিগঞ্জের যুবক যুবতীর। বিয়ের পর বাড়ি যখন ফেরত আসছেন তখন ঘড়ির কাঁটায় প্রায় বেলা দুটো। রাস্তায় শুরু হয়েছে পুলিশের টহলদারি। রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় দু নম্বর জাতীয় সড়কে প্রহরা চলছিল পুলিশের। গাড়ি আটকে পড়ল পুলিশের নজরদারিতে। মারুতি ভ্যানের দরজা খুলতেই দেখা মিলল নবদম্পতির। জানা গেল, ওই দম্পতি আসানসোলের ঘাঘরবুড়ি মন্দির থেকে বিয়ে করে ফিরছেন রানিগঞ্জের শিশুবাগান এলাকায়।
দুজনের হাত স্যানিটাইজ করে কর্তব্যরত পুলিশের হাতজোর করে আবেদন, বক্সে টুম্পা সোনা গান বাজাবেন না। বাড়িতে গিয়েও ডিজে বক্সে টুম্পা সোনা গান বাজাবেন না। বেঁচে থাকলে অনেক আনন্দ উল্লাস করতে পারবেন। পুলিশের কথায় লজ্জায় লাল হল দম্পতি। পুলিশের আরও আবেদন, ভোজ-টোজ করবেন না। ভোজ করলেও ৫০ জনের বেশি নয়। মুখে মাস্ক পড়বেন। স্যানিটাইজার রাখবেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। গান বাজনা বন্ধ। যদি মানুষ বেঁচে থাকে অনেক আনন্দ উৎসব করার সুযোগ পাবেন বলে নবদম্পতিকে জানায় পুলিশ।
করোনাকালে মানুষ যখন আতঙ্কিত বিভ্রান্ত তখন খানিকটা মজার ছলেই ওই পুলিশ অফিসারের সিরিয়াস পরামর্শ, একবছর পর বিবাহবার্ষিকী। ২৫ বছর পর সিলভার জুবিলি হবে। তারপরে গোল্ডেন জুবিলি। কিন্তু এসব তো হবে বেঁচে থাকলে তবেই। এখন খুব অবস্থা খারাপ। একদম জমায়েত করবেন না।