মুম্বইঃ নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন (Raveena Tandon) মা হয়েছিলেন মাত্র ২১ বছর বয়সে। তার এক দুঃসম্পর্কের বোন ১১ বছর এবং ৮ বছরের দুই মেয়েকে রেখেই মারা যান। তখন অভিনেত্রী দত্তক (adopt) নেন পূজা এবং ছায়াকে। মাত্র ২১ বছর বয়সে সিঙ্গেল মাদার হওয়ার মত সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রবিনা টন্ডন। পূজা এবং ছায়া দুজনেই এখন মা হয়ে গিয়েছেন। তাই সম্পর্কে রবিনা এখন দিদা।
মাত্র ৪৬ বছর বয়সে দিদা হওয়ার এই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘দিদা অথবা দাদু এই শব্দ গুলি যখন কেউ শোনে, তাদের মাথায় চলে আসে মানুষটা ৭০ কিংবা ৮০ বছরের। কিন্তু আমি যখন আমার মেয়েদের গ্রহণ করি তখন আমারই বয়স ২১। আর আমার বড় মেয়ের বয়স তখন ১১। সুতরাং হিসাব মত আমাদের বয়সের ফারাক ১০ বছর’। তিনি আরও জানান, এখন তার বড় মেয়ের নিজের একটা বাচ্চা আছে। তাই জন্যেই বড় মেয়ে এখন তার বন্ধুর মত। কিন্তু মেয়ের জীবনে মায়ের জায়গাটা পূরণ করেছেন তিনি। তাই তার বাচ্ছার দিদা হয়েছেন রবিনা।
তিনি জানিয়েছেন ছোট থেকেই মায়ের সঙ্গে প্রায়ই অনাথ আশ্রমে যেতেন। তাই যে মুহুর্তে সেই বোনটি মারা গেলেন দুই সন্তান রেখে, কোন কিছু না ভেবেই বাচ্চা দুটোকে নিজের বাড়িতে নিয়ে চলে এসেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘ওদের মা মারা যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন যেভাবে ওদের সঙ্গে ব্যবহার করত তা আমার কখনই পছন্দ হয়নি। তাই ওদেরকে নিয়ে চলে আসি। আমি শুধু চেয়েছিলাম ওরা একটা সুখি জীবন পাক। যেটা ওদের প্রাপ্য। আমি হয়তো বিশাল কোটিপতি নয় কিন্তু আমার যতটুকু ক্ষমতা তাই দিয়েই আমি সাহায্য করতে পারি’।
তবে এমন সাহসী একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্যে সমাজের একাধিক মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। এই প্রসঙ্গে রবিনা বলেছেন, ‘সবাই বলত আমাকে হয়তো কেউ বিয়ে করবে না। বা বিয়ে হলেও বিয়ের পর আমার মেয়েদের কেউ মেনে নেবে না’। কিন্তু সেই কোন সমালচনাতেই কান দেননি তিনি। বরং মজার ছলে তাদের জবাব দিতেন , ‘আমি একটা পুরো প্যাকেজ দেব – আমার দুই মেয়ে, আমার কুকুর এবং আমি। নেওয়ার হলে নাও নয়তো বাদ দাও’। ২০০৪ সালে অভিনেত্রী বিবাহ করেন চলচ্চিত্র পরিবেশক আনিল থাডানিকে (Anil Thadani)। তাদের দুই সন্তান আছে রাশা এবং রনভিরবর্ধন। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ি তরফে কোন সমস্যাই হয়নি তার মেয়েদের নিয়ে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.