নয়াদিল্লি : অব্যাহত করোনার (Coronavirus) ছোবল। দেশজুড়ে চলছে কালান্তক করোনার কালবেলা।
মারণ ব্যাধির দ্বিতীয় ধাক্কায় রীতিমতো বেসামাল গোটাদেশ(India)। দিন যত যাচ্ছে ততই উদ্বেগ বাড়িয়ে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র। পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
এই অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুধু শহর নয়, ছড়িয়ে পড়েছে মফস্বল(Urban) সহ গ্রামীণ অঞ্চলে। প্রতিমুহুর্তে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গ্রামীন জনগোষ্ঠীর মধ্যে থাবা বসাচ্ছে মারণ এই ভাইরাস।
প্রাণহানির মতোন ঘটনাও ঘটছে কম না।
ফলে এইরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে গ্রামীন এলাকায় করোনা সংক্রমণের রেশ ঠেকাতে একগুচ্ছ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক(Health ministr। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় গ্রামীন এলাকায় এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নয়া গাইডলাইনে(New Guidelines) গ্রামীন এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।
সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টেস্ট যাতে আরও বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
সংক্রমণের গুরুত্ব বুঝে অ্যান্টিজেন টেস্ট, প্রয়োজনীয় কিট, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও কমিউনিটি হেলথ অফিসারের মাধ্যমে গ্রামীন অঞ্চলের করোনা পরিস্থিতির যাবতীয় রিপোর্ট সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নিয়মিত পেশ করা জরুরি।
শুধু তাই নয়, শহরের বাসিন্দাদের মতোই গ্রামীন এলাকায় কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হলে তিনি যদি হাসপাতালে ভরতি হতে না চান তাহলে বাড়িতে আইসিএমআর-এর দেওয়া কোভিড প্রোটোকল মেনে ১৪ দিন সেল্ফ আইসোলেশনে থাকা উচিত।
বাড়িতে নিজেকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সময় মাস্ক ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়াও মাস্ক খুললেও ১৫ মিনিটের বেশি সময় মাস্ক ছাড়া থাকা উচিত নয়। সবসময় ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। শুধু তাই নয় ১৪ দিন পরেও ফের করোনা টেস্ট করা একান্ত আবশ্যক।
অন্যদিকে, দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শনিবার ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিনের বৈঠকে (Covid Meet) দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং টিকাকরণ অভিযান নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তরফে যে নির্দেশ গুলি দেওয়া হয়, সেগুলি হল —
১) উচ্চ পজিটিভিটি যুক্ত রাজ্য গুলিকে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা রিপোর্টের নির্দেশ।
২) গ্রামীণ অঞ্চলে মেডিকেল অক্সিজেন বণ্টন, প্রয়োজনে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরামর্শ।
৩) আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ক্ষমতায়নের নির্দেশ।
৪) পজিটিভিটি যুক্ত জেলাগুলিতে করোনা পরীক্ষা করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ।
৫) ভেন্টিলেটর সব রাজ্য ব্যবহার করছে কি না, সেই বিষয়ে জানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) অডিট করার সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান সেই কথাই বলছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৭০ জন। শনিবারের তুলনায় অনেকটাই কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই নিয়ে পরপর ৩ দিন কমল আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েকদিন যাবৎ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ৪ লক্ষের নিচেই। নিঃসন্দেহে এটি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা অবশ্য বেড়েছে। শনিবার যেখানে ৩ হাজার ৮৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে রবিবার ৪ হাজার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশা জাগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। শনিবারের তুলনায় সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থতার হার রবিবার দৈনিক সংক্রমণের থেকেও বেশি। শনিবার যেখানে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৯৯ জন মানুষের সুস্থতার খবর এসেছিল, রবিবার জানা গেল গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৭ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৫৮ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৩৫ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ২৮৪ জনের। মোট ১৮ কোটি ২২ লক্ষ ২০ হাজার ১৬৪ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.