চণ্ডীগড়: মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আগামী প্রজন্মকে আকর্ষণ করতে এক অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেছে চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় (Chandigarh University)। দেশের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ১৪ মে এয়ারস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (Aerospace Engineering) ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট স্যাটেলাইট ডিজাইনিং এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ‘কুস্যাট’ (‘CUSAT’) চালু করেছে। ‘কুস্যাট’ (‘CUSAT’) এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) বিজ্ঞানী ডঃ ওয়াইএস রাজন (Dr YS Rajan), ইসরোর (ISRO) প্রাক্তন পরিচালক আরএম ভাসগাম (RM Vasagam), এবং মঙ্গলযান (Mangalyaan) সহ চন্দ্রযান -১ (Chandrayaan-1) এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডঃ মেলস্বামী অন্নাদুরাই (Dr Mylswamy Annadurai)।

চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যে একটি বহুমুখী ন্যানো-স্যাটেলাইট (nano-satellite) ডিজাইন করার পরিকল্পনা করেছে যা ইসরো (ISRO) দ্বারা চালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাতনাম সিংহ সান্ধু এই বিষয়ে বলেছেন, স্যাটেলাইটটির নকশার জন্য প্রতিষ্ঠান ১ কোটি টাকা ব্যায়ের পাশাপাশি ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ শুরু পর্ব শুরু করে দিয়েছে। স্যাটেলাইট প্রকল্পের একটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপনের জন্য কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়। এর পাশাপাশি মিস্টার সান্ধু আরও যোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ পরিচালনায় অংশ নেবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা সহ প্রাক্তন ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

স্যাটেলাইট প্রকল্পের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে স্যাটেলাইট ডিজাইনিং (satellite designing), ইন্টিগ্রেশন অব কম্পোনেন্ট (integration of components), স্যাটেলাইট লঞ্চ প্রক্রিয়াটির পরীক্ষা ও সিমুলেশন (testing and simulation of the launch process), স্যাটেলাইটের ডাটা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের (collection and analysis of data from the satellite) মতো বিষয়গুলিতে।

মঙ্গলযান (Mangalyaan) সহ চন্দ্রযান -১ (Chandrayaan-1) এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডঃ মেলস্বামী অন্নাদুরাই (Dr Mylswamy Annadurai) প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ভারত অনেক পরে মহাকাশ অনুসন্ধানের পথে পা দিলেও, বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কর্মসূচিতে নিজের জন্য একটি বিশেষ পরিচয় তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি মহাকাশ বিজ্ঞানী আরও যোগ করে বলেন, যেখানে রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশ ৫ থেকে ৬ বারে প্রচেষ্ঠা করেছে মঙ্গলে পা রাখার জন্য, সেখানে ভারত প্রথমবারে মঙ্গল অভিযান সফল করেছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.