করোনা আবহে দিন যত গড়িয়েছে ততই খারাপ হয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এদিকে করোনার ভয়ে উচ্চ মধ্যবিত্ত, তথা উচ্চ বিত্তদের একটা বড় অংশই পাড়ি জমিয়েছেন বিলেতে। প্রবাসী ভারতীয়দের অনেকেই বর্তমানে ইংল্যান্ডকেই তাদের সেফ হোম হিসাবে বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে আবার ইংল্যান্ড আমেরিকার মতো দেশ আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকটাই ভারতের উপর নির্ভরশীল।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিবাসন বিশেষজ্ঞ এবং ব্রিটেন ভিত্তিক আইন সংস্থা বেটস ওয়েলসের অংশীদার চিতল প্যাটেল বলেন, এটা ঠিক যে করোনার দ্বিতীয় পর্বের ধাক্কায় ভারতের ভগ্নপ্রায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্রটা ক্রমেই বাইরে এসেছে। এমতাবস্থায় সঠিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর খোঁজে অনেকেই ব্রিটেনে পাড়ি দিচ্ছেন। এমতাবস্থায় ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সমস্ত প্রবাসীদের জন্যই খুলে দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয় ইংল্যান্ডে কর্মরত প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। অন্যদিকে তথ্য-প্রযুক্তি হোক বা স্বাস্থ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং অনেক বহুজাতিক সংস্থাই যে ভারতীয় কর্মীদের উপর গভীর ভাবে আস্থা রাখেন সেই কথা স্বীকার করেছেন চিতল প্যাটেল। করোনাকালে তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য প্রতি ক্ষেত্রেই কর্মীর চাহিদা বেড়েছে। সেই ক্ষেত্রে বিদেশি ভারতীয় চাকুরীপ্রার্থীদের আগমণও আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে বলে মনে করে তিনি।
অন্যদিকে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময় ভারতীয় ধনী ব্যবসাদারদের একটা বড় অংশ ব্রিটেনমুখী হয়েছে বলে জানান প্রাক্তন ব্যারিস্টার এবং অভিবাসন পরামর্শদাতা সংস্থা ইউকেআরসিডেন্সি.ওআরজি-র পরিচালক ব্যারি হারউড। ব্যবসায়িক সুবিধা, উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর জন্যই তারা বিলেতে পাড়ি দিচ্ছেন বলে তাঁর মত। এমনকী ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের ব্যবসায়ির পরিমণ্ডলে একাধিক পরিবর্তনও এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন তিনি।