প্রাথমিক প্রস্তাব এসেছিল কলকাতা পুরসভার তরফেই
এদিকে এর আগেই সরকারের কাছে প্লাস্টিকের ব্যাগের বদলে সুতির ব্যাগে করোনায় মৃতদের সৎকারের প্রস্তাব দিয়েছিল কলকাতা পৌরসভা। কলকাতা পৌরসভা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দাবি এতদিন করোনা আক্রান্তের দেহ প্লাস্টিকে মুড়ে সৎকার করারই চল ছিল। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত হচ্ছিল পরিস্থিতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল চুল্লির ফার্নেস। মাঝেমাঝেই বিকল যাচ্ছিল চুল্লি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাহ কাজ বন্ধও হয়ে যাচ্ছিল এই কারণে।
বাড়ছে বায়ুদূষণ
বর্তমানে গোটা শহরজুড়েই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় ঢল নামায় ভিড় উপচে পড়ছে শ্মশানগুলিতেও। কিন্তু তার মাঝেই একাধিক বার সামনে আসছে চুল্লি বিকলের ঘটনা। বর্তমানে এই সঙ্কট এড়াতেই সরকারের তরফে এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের দেহ সমাধিস্থ করার ক্ষেত্রে প্লাস্টিক মাটিতে মিশে যাওয়ায় দূষিত হচ্ছিল পরিবেশ। এমনকী প্লাস্টিক দহনেও বাড়ছিল দূষণের পরিমাণ।
চাহিদার তুলনায় জোগান কম
সব মিলিয়ে দাহ কাজে গতি আনার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখেই বর্তমানে প্লাস্টিকের বদলে সুতির ব্যাগে করোনায় মৃতদের দেহ দাহ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সুতির ব্যাগের জোগান অনেকটাই কম রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে দ্রুত তা বৃদ্ধি করা হবে বলেও প্রশাসন সূত্রে খবর।
স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসেছে ১৩০০ ব্যাগ
এদিকে বর্তমানে এই জাতীয় সুতির ব্যাগ তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তন্তুজ ও বঙ্গশ্রীকে। এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের হাতে ১৩০০ ব্যাগ এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। তাই বর্তমানে সমস্ত হাসপাতালে যে পরিমাণ চাহিদা করেছে সেই তুলনায় জোগান কম থাকায় ধাপে ধাপে সেই চাহিদা পূরণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনার কবলে পড়েছেন ১৯ হাজার ৫১১ জন। মারা গিয়েছেন ১৪৪ জন।