স্টাফ রিপোর্টার, বহরমপুর: এই লকডাউনে রাজ্যের প্রকৃত গরিবদের বিনামূল্যে খাবার ও মাসে ৬ হাজার টাকা দিন৷ এই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (narendra modi) চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী (adhir chowdhury)।

দেশ জুড়ে লকডাউনে (lockdown) কাজ হারানো মানুষগুলির পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে, তাঁদেরকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে অনুরোধ করেছেন অধীর চৌধুরী। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে তিনি বলেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন চলছে। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে যাঁরা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন তাঁদের ওপরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। এইসব মানুষজন পরিবার নিয়ে করুণ পরিস্থিতির সম্নুখীন। এই সময় লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার পাশাপাশি মাসে ছয় হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হোক। প্রসঙ্গত কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এই দাবি করেছেন৷ চিঠিতে তাঁর দাবিকেই তুলে ধরেছেন অধীর৷

আরও পড়ুন: অতিমারি ঠেকাতে ৫১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে: দেবী শেট্টি

গত দিন কয়েকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একাধিক চিঠি লিখেছেন অধীর চৌধুরী। কদিন আগে চিঠিতে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন টিকার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? পাশাপাশি মহামারি পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও করেছিলেন তিনি।

এদিকে, নিজের সাংসদ তহবিলের পুরো টাকাটাই করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন বহরমপুর লোকসভার পাঁচবারের সাংসদ। তাঁর কথায়, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা আমার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেই আমি মনে করি।’

গত বছর লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে ছিলেন অধীর চৌধুরী৷ কেরল, তামিলনাড়ু কিংবা বিহার পরিযায়ীরা যেখানেই আটকে পড়ুন না কেন সাহায্য চেয়ে, যে যখনই ফোন করেছেন, তখনই সাধ্যমতো তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অধীর চৌধুরী।  খাবার পৌঁছে থেকে শুরু করে পরিযায়ীদের রাজ্যে ফেরাতে ট্রেন চালানো নিয়ে কেন্দ্রের কাছে তদবির, সবেতেই তিনি পাশে ছিলেন৷ এবারও সেই তৎপরতা দেখা গেল তাঁর মধ্যে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.