কলকাতাঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের (Corona) তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাঁধ সেধেছে দেশের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে নেই শয্যা, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। এহেন সংকটজনক পরিস্থিতিতে এরাজ্যের অবস্থাও বেগতিক।

এবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন জয় গোস্বামী (joy goswami)। রবিবার দুপুরে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়, তবে সন্ধ্যায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সাথে সাথে তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি। তেব রবিবার সকালে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এই বিখ্যাত কবির। সাথে বমিও হতে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ থেকে ১০৪-এ পৌঁছে যাওয়ার কারনে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি-তে (Beleghata ID) নিয়ে যাওয়া হয় সন্ধ্যায়।

গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৭০ জন। শনিবারের তুলনায় অনেকটাই কমেছে আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই নিয়ে পরপর ৩ দিন কমল আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েকদিন যাবৎ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ৪ লক্ষের নিচেই। নিঃসন্দেহে এটি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা অবশ্য বেড়েছে। শনিবার যেখানে ৩ হাজার ৮৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে রবিবার ৪ হাজার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশা জাগাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। শনিবারের তুলনায় সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থতার হার রবিবার দৈনিক সংক্রমণের থেকেও বেশি। শনিবার যেখানে ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৯৯ জন মানুষের সুস্থতার খবর এসেছিল, রবিবার জানা গেল গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন।

এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৭ জন। সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৫৮ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৩৫ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার ২৮৪ জনের। মোট ১৮ কোটি ২২ লক্ষ ২০ হাজার ১৬৪ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.