কঠিন পরিস্থিতিতে গরিবরা
অধীর চৌধুরী এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলেছেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন চলছে। সেই পরিস্থিতিতে কঠিন পরিস্থিতির মুখে দেশের গরিবরা। সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে যাঁরা দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন তাঁদের ওপরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। এইসব মানুষজন পরিবার নিয়ে করুণ পরিস্থিতির সম্নুখীন। এইসব মানুষরা নিজেদেরকে সমাজের পরিত্যক্ত বলেই ভাবছেন এবং আশাহত হয়ে পড়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
দেওয়া হোক খাদ্যশস্য, নগর টাকা
অধীর চৌধুরী এব্যাপারে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীর প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত সনিয়া গান্ধী দাবি করেছেন, লকডাউনে কর্মহীন মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার পাশাপাশি মাসে ছয়হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হোক। সেব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাজ শুরু করার দাবি করেছেন অধীর চৌধুরী। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর দাবি তুলেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সহ যেসব রাজ্যে করোনা লকডাউন চলেছে, সেইসব রাজ্যের যোগ্য গরিবদের হাতে তিনি এই সাহায্য তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন।
অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে
অধীর চৌধুরী বলেছেন, সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে শুধু ওইসব পরিবারগুলিই উপকৃত হবে না, দেশের অর্থনীতিও লাভবান হবে বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের
গত দিন কয়েকের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একাধিক চিঠি লিখেছেন অধীর চৌধুরী। এর মধ্যে কোনওয়া মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো নিয়ে, আবার কোনও চিঠিতে রাজ্য সরকারের পাশে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন অধীর চৌধুরী। পশ্চিমবঙ্গকে পর্যাপ্ত টিকা দিতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। চিঠিতে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন টিকার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল। পাশাপাশি মহামারি পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের প্রয়োজন রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নও করেছিলেন তিনি।