লন্ডন: কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের ফলে ভারতে ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বের বহু দেশকে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার করার কারণ হিসেবে একাধিক সংস্থা যেমন গুগল, শাওমি, ওয়ানপ্লাস, টুইটারও আর্থিক অনুদান দিয়েছে। তবে এই সমস্ত কিছুর মধ্যে যে মানুষটি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধে বিশাল অবদান রেখেছেন তিনি বিমান চালক জাসপাল সিং (Jaspal singh) । বিমান চালকের (pilot) পাশাপাশি মিস্টার সিং এর আরও একটি পরিচয়, তিনি যুক্তরাজ্যের খালসা এইড (Khalsa Aid volunteer) এর একজন স্বেচ্ছাসেবক।

সম্প্রতি ভারতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যশপালের অবদানের জন্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পয়েন্টস অফ লাইট অ্যাওয়ার্ডে (Prime Minister’s Points of Light Award) ভূষিত করা হয়েছে। মিস্টার সিংকে দেওয়া ব্যক্তিগত চিঠিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) জানিয়েছেন, এই মহামারী পরিস্থিতিতে মিস্টার সিংয়ের আবদানের কথা শুনে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

ভারতে প্রতিনিয়ত সংকটজন রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় কমেছে হাসপাতালে বেডের সংখ্যার সঙ্গে অক্সিজেনের পরিমাণ। প্রতিটা দিন অক্সিজেন না মেলায় বেশকিছু রোগী মৃত্যুর সংবাদও সামনে আসছে। ভারতে অক্সিজেনের সংকটের মেটাতে ভার্জিন আটলান্টিক পাইলট ২০০ টা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন আকাশ পথে।

মিলিয়ন স্পার্কস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অভিনব মাথুর ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, ভারত করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং এই সময়ে অনেক হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবের সংবাদ সামনে আসছে। করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব কারণে দেশে সাম্প্রতিক সময়ে হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতে মহামারীর এই ভয়াবহ রূপ দেখে বিমানচালক যশপাল সিং (Jaspal singh) ভারতকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই কাজের জন্য তিনি ভার্জিন আটলান্টিকের কাছে পৌঁছান এবং সংস্থা ভারতের এই মহামারীর সময়ে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়ে সাহায্য করতে পারবে কিনা তার কথা জানান।

ভারতের এই খারাপ সময়ে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করতে চেয়েছিলেন জাসপাল সিং বলে পয়েন্ট অব লাইটের একটি বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ, সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের অনেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিনগুলি ‘খালসা এইড ইন্টারন্যাশনাল’ এ দান করায় একপ্রকার অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এই বিমানচালক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

যশপাল সিং-এর (Jaspal singh) এই অবদানের জন্য তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পয়েন্টস অফ লাইট অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)মিস্টার সিংকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ভারতের এই কঠিন সময়ে ব্রিটিশ জনগণ ভারতের সহায়তায় হাজার হাজার পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি আকাশ পথে শত শত অক্সিজেন সিলিন্ডার ভারতের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো কাজে প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রাণিত করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.