কেরলের পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত, কেরলের একাধিক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি পাত শুরু হয়েছে। সেখানের উপকূলীয় এলাকার ২০০০ জনকে ৭১ টি ক্যাম্পে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার জুড়ে ১৪৫.৫ মিলিমিটার গড় বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে কেরলে। মৌসম ভবনের সতর্কতা পেশ করে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন কেরলের কৃষি ক্ষেত্র এই সাইক্লোনের জেরে প্রবলভাবে প্রভাবিত হবে। প্রভাব পড়বে বিদ্যুৎ সেক্টরেও।
সাইক্লোনের বলি ২
কেরলের এরনাকুলাম , কোঝিকোডে ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। ঝড়ের তাণ্ডবের জেরে এঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিকে, তাউটের প্রভাবে মুম্বইতে প্রবল বর্ষণের পূর্বাবাস রয়েছে। আজ থেকেই মায়ানগরী সম্ভবত এই সাইক্লোনের বিধ্বংসী রূপ দেখতে পারে প্রবল বর্ষণের হাত ধরে।
গোয়া থেকে ১০০ কিমি দূরে সাইক্লোন!
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে আরব সাগরের বুকে ফুঁসে উঠতে শুরু করে দিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। আপাতত গোয়া থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সাইক্লোন তাউটে। ধীরে ধীরে তা উত্তরমুখী হয়ে সরে যেতে শুরু করেছে। এর আগে রাত আড়াইটে নাগাদ মুম্বই থেকে এই সাইক্লোন ৪৯০ কিলোমিটার দূরে ছিল। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় আপাতত ভারতীয় বায়ুসেনা ১৬ টি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্ট ও ১৮ টি চপার মজুত রেখেছে।
১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতি নিয়ে আছড়ে পড়বে
জানা গিয়েছে , সাইক্লোন তাউটে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসতে শুরু করবে উপকূলীয় ভাগে। ১৭ মে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মনে করা হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ মে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল শক্তি নিয়ে গুজরাতের উপকূলে আছড়ে পড়বে।