গত মাস থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই গোটা দেশে চরমে উঠেছে টিকা সঙ্কট। বন্টনে বঞ্চনার অভিযোগ, শূন্য ভাঁড়ার নিয়ে করোনা টিকাকরণে দিশাহীন কেন্দ্র সরকারও। টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি না হলে কোনোভাবেই যে অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব না তা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পাশাপাশি বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে করোনা যে ভাবে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে সেখানে ভারত সাহায্যের হাত না বাড়ালে বিপদ যে আরও বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েকদিন নেপাল, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। সবথেকে ভয়বহ অবস্থা নেপাল ও মালদ্বীপের। সেখানে নতুন মাত্রায় চোখ রাঙাচ্ছে ডাবল মিউট্যান্ট করোনা। এমনকী শুধুমাত্র মালদ্বীপে পজেটিভিটির মাত্রা ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। করোনা ঠেকাতে শুরু হয়েছে কার্ফুও। নতুন করে উদ্বেগ বেড়েছে আমআদমির মধ্যে।
অন্যদিকে নেপালে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষের গণ্ডি পার করে ফেলেছে। সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। সঙ্গে করোনা টেস্ট ও অক্সিজনের জোগানও ঘোরতর সঙ্কটের মুখে। অনেক হাসপাতালেই বেডের অভাবে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের। এমনকী দেশের মোট ৭৭ টি জেলার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫৫ টি জেলায় থাবা বসিয়েছে করোনা।
সংক্রমণ বাড়ছে গ্রামে, গ্রামীণ ভারতে কোভিড দমনে জারি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা
এমতাবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে প্রতিটা দেশই চাইছে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় গতি আনতে। এমতাবস্থায় ভারতের সাহায্য ছাড়া তা যে কার্যত অসম্ভব তা আর বলার অপেক্ষা রাখে। তাই নিকটতম প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াতে করোনা টিকা পাঠাচ্ছে ভারত। যদিও নিজ দেশেই টিকা সঙ্কটের মুখে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জোনরোষ তৈরি হলেও সরকারের কাছে আর কোনও রাস্তাই খোলা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলের সবথেকে বড় শক্তি হিসাবে নিজের দায়বদ্ধতার কথাও মনে করাতে চাইছে ভারত সরকার।