রায়দিঘি(দক্ষিণ ২৪ পরগনা): হেরে গোহারা সিপিআইএমের কান্তি গাঙ্গুলী (Kanti Ganguly)। তবে ক্লান্তিহীন। হই হই করে চালু করে দিয়েছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে দাওয়াখানা। করোনা রোগীদের জন্য বা অন্য যে কেউ সেখান থেকে প্রয়োজন মতো ওষুধ, মাস্ক নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ব্যবসায়ী, দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে উদ্ধার গাড়ি

ভোটের গণনার আগেই বিদগ্ধ বাম রাজনীতিক, প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বলেছিলেন মেরুকরণ হচ্ছে। রাজ্যের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগে আছি। ভোটের ফল বলছে কান্তি গাঙ্গুলীর চিন্তা মিলে গিয়েছে। ফলাফলে দেখা গিয়েছে কোথাও ধর্মীয় কোথাও জাতিগত মেরুকরণেই ভোট দিয়েছেন রাজ্যবাসী। এই ভাগাভাগিতে সংযুক্ত মোর্চার বাম শরিকরা নিশ্চিহ্ন। স্বাধীনতার পর নজিরবিহীনভাবে বিধানসভা বাম শূন্য। এই ঝড়ে উড়ে গিয়েছেন রায়দিঘির জাঁদরেল নেতা কান্তিবাবু। এই কেন্দ্র ফের তৃণমূলের দখলে।

পরপর তিনবার হারলেন কান্তি গাঙ্গুলী। এবারে হারার পর বরাবরের মতো ঘোষণা করেছেন, সুন্দরবনবাসীর সঙ্গেই আছি। সেই লক্ষ্যে নিজ এলাকায় শুরু করেছেন দাওয়াখানা। সিপিআইএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-কে সঙ্গে নিয়ে বুড়ো কান্তি এখনও যুবদের মতো লড়ছেন। এবার লড়াই করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে।

নির্বাচনে সিপিআইএম শূন্য হলেও তাদের রেড ভলান্টিয়ার্স কর্মকান্ড এখন করোনা সংকটকালে রাজ্য ছাড়িয়ে বিশ্বে আলোচিত। কান্তি গাঙ্গুলীও একজন রেড ভলান্টিয়ার। শুধু ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র নয়, করোনা রোগীদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল তৈরি হলো তাঁর উদ্যোগে।

আরও পড়ুন: Cyclone Tautkae UPDATE: ঝড়ের দাপটে তছনছ কেরালার উপকূলবর্তী গ্রাম বালিয়াঠুরা

৫০ শয্যার এই কোভিড হাসপাতাল মুকুন্দপুরে প্রতিবন্ধী ভিলেজে তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও প্রতিবন্ধীদের দাবি দাওয়া ও সংগঠনটির মাথা কান্তি বাবু। তাঁরই উদ্যোগে হয়েছে কোভিড হাসপাতাল।

ফেসবুকে কান্তি গাঙ্গুলীর ঘোষণা, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর (মুকুন্দপুর প্রতিবন্ধী Village) উদ্যোগে ৫০ বেড সম্পন্ন এক ত্রাণ কেন্দ্র খোলা হবে। দ্রুত এটি ১০০ শয্যার হবে।

তিনি লিখেছেন, “আমরা কৃতজ্ঞ শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডাক্তার’স ফোরাম এর কাছে….মানুষ মানুষের সাহায্যে পাশে এসে দাঁড়াক, এটাই আমার প্রার্থনা।”

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.