বেঙ্গালুরুতে কী ঘটছে?
বেশ কিছু কোভিড কেস রিপোর্ট বেঙ্গালুরুতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের কাছে যে সমস্ত রোগীরা এক মাস আগে জিভের শুকনোভাবের সমস্যা নিয়ে দ্বারস্থ হন, সেই সমস্ত রোগীদের অনেকেই ঠিক এক মাসের মধ্যে সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই ট্রেন্ড আপাতত দক্ষিণী বাগিচা শহরজুড়ে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে সেখানেক চিকিৎসকরা বেশ উদ্বেগে।
বেঙ্গালুরুর চিকিৎসকদের দাবি
বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসক স্থানীয় সংবাদপত্র 'বেঙ্গালুরু মিরর'কে দেওয়া সাক্ষৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এক রোগী এসেছিলেন মুখের ভিতরের শুকনোভাবের সমস্যা নিয়ে। এরপর রোগীর ব্লাড সুগার লেভেল স্বাভাবিক বলে দেখা যায়। তবে এরিথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেট খুব বেশি ছিল। এই মর্মে ওই চিকিৎসক বলেন,'আমি কনজাংটিভাইটিস করোনার একটি উপসর্গ বলে জানতাম। যদিও ওই ব্যক্তির জ্বর ছিল না। তবে তাঁর খুবই ক্লান্ত লাগছিল। আমার তখনই সন্দেহ হয়। এটা কোভিডের লক্ষণ বলে। তাঁকে আরটি পিসিআর টেস্ট করতে বলি। দেখা যায়, তিনি কোভিড পজিটিভ। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনি সুস্থ হন।'
কোভিডের জেরে জিভে কী কী সমস্যা হতে পারে?
প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর চিকিৎসকরা বলছেন কোভিডের জেরে জিভ শুকিয়ে যাওয়ার আগে জিভে একটা চুলকানির মতো অনুভূতি হতে থাকবে। একটা হালকা যন্ত্রণা আর জিভ খুব শুকিয়ে যেতে থাকবে। এক্ষেত্রে বিরলভাবে জিভে ঘা -ও দেখা যেতে পারে। এরপর থেকে একটু জ্বর থাকার সম্ভবনা রয়েছে। রোগীর নিজেকে দুর্বল বলে মনে হতে পারে।
করোনা লক্ষণ ও দেশ
করোনার নতুন স্ট্রেইনের কী লক্ষণ থাকতে পারে, তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত গবষকরা। এদিকে, ইউকে , ব্রাজিল ও ভারতে খুঁজে পাওয়া ডবল মিউট্যান্ট করোনার উপসর্গ একে অপরের থেকে আলাদা কী না, তা নিয়ে রয়েছে জটিলতা। নতুন নতুন লক্ষণের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খুঁজতে যখন চিকিৎসরা ব্যস্ত, তখনই এই নয়া উপসর্গের তত্ত্ব প্রকাশ্যে আসছে।