স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না৷ এবার বাড়িতে বসেই বুকিং করতে পারবেন৷ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য প্রি বুকিং ব্যবস্থা চালু করল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal corporation)। তবে যারা দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নেবেন তাদের জন্যে এই প্রি বুকিং ব্যবস্থা। তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপে (what’s app) নাম, ঠিকানা ও প্রথম ডোজের আইডেন্টিটি নম্বর পাঠাতে হবে।
পুরসভার তরফে একটি বিশেষ টোল ফ্রি নম্বর (Toll-free Number) দেওয়া হয়েছে। নম্বরটি হল ৮৩৩৫৯৯৯০০০৷ এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপও (whats app number) রয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখন ১৪৫ ভ্যাকসিন সেন্টার ও টেস্টিং সেন্টার চালানো হচ্ছে টিকাকরণের জন্যে। আগামী ১৫ দিন এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “লাইন দিয়ে, ভিড় করে দাঁড়িয়ে অনেকেরই ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এখন থেকে বাড়িতে বসে এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করলেই পুরসভা সময় ও স্থান জানিয়ে দেবে।” এর জন্য পুরসভার তিনটি ভ্যাকসিনেশন সেন্টার খুলেছে। উত্তরে বিধান শিশু উদ্যান, মধ্য কলকাতার রক্সি সিনেমা হল ও দক্ষিণ কলকাতার সাউথ সিটি স্কুল থেকে এই বিশেষ সুবিধা মিলবে। তবে ৪৫ বছর বয়স হলেই মিলবে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের প্রি-বুকিং সুবিধা। পাশাপাশি হকার ও গণ পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের জন্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এলিট সিনেমা হল, হাতিবাগানের সুকান্ত সদন, মোহিত মঞ্চে। এতদিন ময়দানে পুরসভার টেন্ট ও অহীন্দ্র মঞ্চে চলছিল।
আরও পড়ুন: ১২ টাকায় ২ লক্ষ টাকার বীমা করার সুযোগ! বিশেষ এই স্কিমে যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ, রবিবার থেকে থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন। আগামী ১৫ দিন লকডাউন জারি থাকবে৷ আরোপ করা হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনেশন চালু থাকবে আগের মতোই। ভ্যাকসিনেশন জরুরি পরিষেবার আওতায় পড়ছে, তাই ভ্যাকসিননেশন কেন্দ্রগুলি খোলা থাকবে। তবে কেন্দ্রে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করতে হবে নিজেদের।
এদিকে, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটে একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা। ৭৫ শয্যার হাসপাতাল। তার জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যবিভাগের একটি বাড়ি বেছে নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.