এখনও পর্যন্ত দেশের করোনা যুদ্ধে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও সিরাম ইন্সস্টিটিউটের কোভিশিল্ডকেই হাতিয়ার করেছে সরকার। এদিকে জোগান ও চাহিদার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকায় গোটা দেশেই চরমে উঠেছে উদ্বেগ। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই সংক্রমণের তীব্র বাড়াচ্ছে করোনার ভারতীয় স্ট্রেন। এমনকী একাধিক ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ পাঁচিলকে ভেঙে ফেলছে। এমতাবস্থায় এবার নতুন সুখবর শোনাল ভারত বায়োটেক।
এদিকে গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়েছে ব্রিটেনের B.1.1. 7 করোনা ভ্যারিয়েন্ট এবং ভারতের ডাবল মিউটেন্ট ভ্যারিয়েন্ট B.1.617। কিন্ত ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এই দুই ভ্যারিয়েন্টকেই ঘায়েল করতে সক্ষম বলে দাবি গবেষকদের। সম্প্রতি এই বিষয়ক একটি সমীক্ষা ক্লিনিকাল সংক্রামক রোগ নামক একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ন্যাশান্যাল ইন্সস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি ও ইণ্ডিয়াল কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে এই গবেষণা চলে বলে খবর।
এদিকে ভারত বায়োটেক ও ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের যৌথ উদ্যোগেই এই দেশীয় করোনা টিকা তৈরি হয়। বর্তমানে গোটা দেশব্যাপী গণটিকাকরণে কোভিশিল্ডের সঙ্গে সমানতালে ভূমিকা রেখে চলেছে কোভ্যাক্সিনও। এমনকী ২ থেকে ১৮ বছর বসয়ীদের উপরেও ট্রায়ালের ছাড়াপত্রও পেয়েছে এই টিকা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই আমেরিকার নিউ ইয়র্কে করোনা ভাইরাসের E484K মিউটেশনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এটি ব্রাজিলের ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গেও যুক্ত। মনে করা হচ্ছে এই মিউটেশনের বিরুদ্ধেও কাজ করতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন।
এদিকে গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ খানিকটা কমেছে করোনা সংক্রমণের হার। আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১১ হাজারের কিছু বেশি মানুষ। কিন্তু জারি রয়েছে মৃত্যু মিছিল। মারা গিয়েছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি মানুষ করোনা টিকাকরণের আওতায় এসেছেন। তার মধ্যে দুটি টিকা ডোজ পেয়েছেন মাত্র ৪ কোটি মানুষ।