কলকাতা: অনেক সময় নানা রকম দুশ্চিন্তা, কর্ম ক্ষেত্রের নানা সমস্যা, লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় ব্যর্থতা বা অযাচিত কোনো কারণে পরিবর্তন হয় আমাদের মুড (mood)। খারাপ মুডের ফলে কোনো কিছুই যেনো ভালো লাগে না। পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সামান্য কথাও হয়ে ওঠে রাগের কারণ। অনেকেই বলেন সেরোটোনিন (serotonin) হরমোন যা আমাদের মস্তিষ্কে নিঃসরণ হয়, সেটাই আমাদের মুড পরিবর্তন, ঘুম ও নানা রকম অনুভূতির জন্য দায়ী।
শরীরে উৎপাদিত হয়ে এই হরমোন নিউরো ট্রান্সমিটারের মধ্যে দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছায়। যা আমাদের মুডের ওপর প্রভাব ফেলে। খাবার কিন্তু মুডের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত। যে সমস্ত খাবার সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে সেটা আমাদের মুড ভালো করতে সাহায্য করে। সেই খাবার গুলি নিয়মিত খেলে লাভবান হওয়া যায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেরকম কিছু খাবার (food)।
১. বেরি: বেরি বা জাম মুড ভালো রাখতে উপকারী। বেশি মাত্রায় ফল খেলে ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা কমে। যেই ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সম্বৃদ্ধ উপাদান আছে তা ডিপ্রেসন ও ইনফ্লেমেশন কে প্রতিরোধ করে মুডের পরিবর্তন প্রতিহত করে।
২. ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকোলেট খেলে মুড ভালো থাকার পাশাপাশি নিজেকে শান্ত ও খুশি মনে হয়। মস্তিষ্কে উৎপাদিত এন্ডরফিন নামক উপাদান যা আমাদের আনন্দ, পরিতৃপ্তি ইত্যাদি অনুভূতি গুলোর জন্য দায়ী তাকে প্রভাবিত করে ডার্ক চকলেট। ডার্ক চকোলেট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ও মস্তিষ্ককে ভালো রাখে।
৩. সলমন মাছ: সলমন মাছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহে কোষ বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের চুল ও ত্বক ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যাঁরা ওমেগা ৩ সম্বৃদ্ধ এই মাছ খান তারা তুলনা মূলকভাবে ভালো মুডে থাকেন।
৪. বাদাম ও বীজ: বাদাম ও বিভিন্ন বীজে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড জাতীয় উপাদান থাকে যা মুড ভালো রাখার জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন সেরোটোনিন নিঃসরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। কুমড়ো, তিল, সূর্যমুখী বীজের পাশাপাশি আমন্ড, কাজু, কাঠ বাদাম, আখরোট জাতীয় বাদামে এই উপাদান গুলি বর্তমান।
৫. পালং: পালং শাকে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম সেরোটোনিন ক্ষরণে সাহায্য করে। যা মুড ভালো রাখার জন্য উপকারী। যাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কম তারাদের ক্ষেত্রে অবসাদ ও উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.