বাংলার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ রূপা
রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি বলেছেন, যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ তিনি। কেননা অনেক কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীরা খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তাঁর মতে মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন বলেই এই পরিস্থিতি।
বিজেপি কি আদৌ মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে
তবে বিজেপির হার নিয়ে রূপা গাঙ্গুলি কিছুটা ব্যক্তিগত মতও প্রকাশ করেছেন। এক বিভিও বার্তায় তিনি বলেছেন, বিজেপি যদি মানুষের কাছে ঠিক মতো বার্তা পৌঁছে দিতে না পারে, তা হলে দলের নেতৃত্বকে ভাবতে হবে। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ চুপ কেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন রূপা। তিনি বলেছেন, অনেক জায়গাতেই বিজেপিকে ভোট দেওয়া মারধর করে ক্ষমা চাওয়ানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন, এখনই ভয় পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, কারণ পরেই পুরভোট রয়েছে। সেইসময় এই মানুষগুলো আর ঘর থেকে বেরোবেন না। তাঁর মতে বিজেপি বাংলার কায়দায় রাজনীতি করতে পারেনি।
ফলাফল গণনায় গোলমাল
ফলাফলের গণনায় কার্যত গোলমালের অভিযোগও করেছেন রূপা। তিনি বলেছেন, রাজনীতিতে ঢোকার পরে তিনি শুনেছিলেন, বাংলায় ভোট করাতে হয়। এব্যাপারে তিনি ভোট গণনার দিনের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশন বাংলার ভোট প্রকৃতি নিয়ে ওয়াকিবহাল নয়। কেননা তিনি শুনেছেন, ভিভিপ্যাটের গণনায় গোলমাল হয়েছে। প্রথমে দিকে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান বেশি ছিল না। কিন্তু মুহূর্তেই ব্যবধান বেড়ে গিয়েছে।
প্রশান্ত কিশোর ফ্যাক্টর
প্রশান্ত কিশোরকে ফ্যাক্টর মেনেছেন রূপা। এব্যাপারে তাঁর মত, তিনি শুনেছেন, পিকে প্রচুর পয়সা খরচ করে নতুন প্রজন্মকে দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছেন। একদিকে যেমন পার্কে গিয়ে যুগলদের বলা হয়েছে, বিজেপি এলে প্রেম করতে পারবেন না। আবার কোথাও বলা হয়েছে গরুর মাংস নিষিদ্ধ।
বাবুল সুপ্রিয়র প্রতিক্রিয়া
নিজে দাঁড়িয়েছিলেন টালিগঞ্জ থেকে। নিজে যেমন পরাজিত হয়েছেন, অন্যদিকে দলও কাঙ্খিত সংখ্যা থেকে অনেক দূরে। যা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাবুল বলেছিলেন, বিজেপিকে ভোট না দিয়ে বাংলার মানুষ ঐতিহাসিক ভুল করেছে। জনগণের রায়কে সম্মান করছি একথাও বলতে শোনা যায়নি তাঁকে।