নয়াদিল্লি: শনিবার ভোর থেকেই কেরলের কোচির উপকূল থেকে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়‘তউকতে’(Tautkae)। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শনিবার রাতে এটি আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের আকার নেবে (cyclonic storm)। একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মৌসম ভবন জানিয়েছে, “১৬-১৯ মে পর্যন্ত এটি খুব মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটার। তীব্র ওই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমটার পর্যন্ত পৌঁছোতে পারে।’’
করোনাকালে ফের এক ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে৷ ঘূর্ণিঝড় ‘তউকতে’ শক্তি বাড়িয়ে ভারতীয় উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। চলতি মরশুমে এই প্রথম এত শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে৷ মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ১৮ মে মঙ্গলবার সকালে গুজরাতের উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘তউকতে’। এমনিতেই করোনার সেকেন্ড ওয়েভে (Corona Virus)বিধ্বস্ত গুজরাত (Gujrat)৷ প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। অতিমারী মোকাবিলায় দিশেহারা দশা রাজ্য সরকারের।
গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এবার করোনার দোসর ঘূর্ণিঝড়৷ ইতিমধ্যে গুজরাতের উপকূলের (Gujrat Cosatal Area) জেলাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গুজরাতের উপকূলের দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পড়বে লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়ার উপকূলবর্তী এলাকায়৷ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ৫৩ টি দলকে নামানো হয়েছে। এরমধ্যে ২৪ টি দল বিপর্যয়ের আগে থেকেই পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এছাড়াও ২৯টি দল পাঁচটি রাজ্যের কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী অবস্থা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারগুলিকে সবরকম সাহায্য়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীও জাহাজ, বিমান, হেলিকপ্টার নিয়ে তৈরি আছে। বিপর্যয় সত্যিই নেমে এলে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী৷ আগামী কয়েকদিন মৎস্য়জীবীদের জন্য়ও জারি হয়েছে সতর্কতা। তাঁদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। গুজরাত-সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলির সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.